পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
দু’সপ্তাহ ধরে জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে। কয়েকজন শিশুর মৃত্যুও হয়েছে। প্রথম থেকেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এ ধরনের শিশু ভর্তির সংখ্যা যেমন কম, সেরকম মৃত্যুরও কোনও ঘটনা নেই। কিন্তু, পুজোর সময় বা যেকোনও মুহূর্তে এ ধরনের সমস্যা ব্যাপক আকার নিলে তা মোকাবিলা করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল উত্তরবঙ্গের অন্যতম রেফারেল সেন্টার। এখানে উন্নত চিকিৎসা পরিকাঠামো রয়েছে। শিশুদের হঠাৎ করে এই জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্তের ঘটনা মোকাবিলা করার জন্য এই হাসপাতাল কতটা প্রস্তুত, তা খতিয়ে দেখতেই এদিন জেলাশাসক বৈঠক করেন। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল ডাঃ ইন্দ্রজিৎ সাহা, হাসপাতালের সুপার ডাঃ সঞ্জয় মল্লিক সহ বিভিন্ন বিভাগের প্রধানরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষ করে জেলাশাসক বলেন, দু’সপ্তাহ ধরে শিশুদের যে জ্বর হচ্ছে তা ভাইরাল। এতে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। প্রতিবছরই শিশুদের এ ধরনের জ্বর হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ জন শিশু যেমন ভর্তি হয়েছে, সেরকম সুস্থ হয়ে অনেকেই বাড়ি ফিরে গিয়েছে। এখানে ভর্তি হওয়ার সংখ্যার থেকে সুস্থতার হার বেশি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, প্রতিবছর মরশুম পরিবর্তনের সময় এখানে এর থেকে বেশি শিশু জ্বর নিয়ে ভর্তি হয়। কারণ, এখানে সবমিলিয়ে শিশু বিভাগে ১১৫টি বেড রয়েছে। তাতে এদিন ৫৪ জন ভর্তি ছিল। যারা জ্বর, সর্দি, কাশি নিয়ে এখনও পর্যন্ত ভর্তি হয়েছে, তাদের কারও মধ্যে করোনা সংক্রমণ পাওয়া যায়নি। প্রশাসনের দাবি, পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। যেসমস্ত শিশু জ্বর সর্দি, কাশি নিয়ে ভর্তি হচ্ছে, তারা দুই-তিনদিন থাকার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে। জেলাশাসক বলেন, ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে গোটা বিষয়টির উপর নজর রাখা হচ্ছে। রেসপিরেটরি প্যানেল ইনফেকশন টেস্ট সহ সব যাবতীয় পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় রিএজেন্ট স্বাস্থ্যদপ্তরের কাছে চাওয়া হয়েছে। কলকাতা থেকে কয়েকদিনের মধ্যেই তা চলে আসবে। তখন এখানেই সব পরীক্ষা হবে। জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের রক্ত, সোয়াবের নমুনা আর কলকাতায় পাঠাতে হবে না। যদি পরবর্তীতে শিশুদের ভর্তি সংখ্যা বেড়ে যায়, তাহলে কোভিড ওয়ার্ডে যে ৩০টি বেড আলাদা করে রাখা আছে, সেগুলি ব্যবহার করা হবে। বেড নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না। এসএনসিইউতে ৩১টি বেড রয়েছে। নিকু এবং পিকু ওয়ার্ডেও ১২টি করে বেড আছে।