দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
উত্তর দিনাজপুর জেলা শ্রমদপ্তরের আধিকারিক সোমনাথ রায় বলেন, দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে ৭২ হাজার সার্ভিস ডেলিভারি করেছি। প্রভিডেন্ট ফান্ডে শ্রমিকের যে পরিমাণ টাকা জমা হয়, তা প্রতি তিনমাস অন্তর অন্তর আপডেট করা হয়। কিন্তু বিভিন্ন কারণে গত দেড় বছর থেকে এই কাজ বন্ধ ছিল। এবার ৭২ হাজার শ্রমিক দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে গিয়ে পাশবুক আপডেট করেছেন।
আইএনটিটিউইসি’র জেলা সভাপতি শেখর দাস বলেন, আমরা জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে সচেতনতা শিবির করছি। শ্রমিকদের অধিকার, তাঁরা সরকারি কী কী সুযোগ সুবিধা পেতে পারেন, কীভাবে আবেদন করতে হয়, এই সমস্ত বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে। শ্রমিকদের জন্য সরকার বহু সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে, কিন্তু কেউ কেউ এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। দপ্তরে নথিভুক্ত থাকলে শ্রমিকের প্রভিডেন্ট ফান্ডও হয়। রাজ্য সরকার শ্রমিকদের পিএফ অ্যাকাউন্টে প্রতি মাসে টাকা জমা করে। আমরা এনিয়ে শ্রমিকদের সচেতন করছি। আগে দপ্তরে একাধিক প্রকল্প চালু ছিল। কয়েক বছর আগে সমস্ত প্রকল্প একত্রিত করে সামাজিক সুরক্ষা যোজনা চালু হয়েছে। শ্রমিকদের নাম সামাজিক সুরক্ষা যোজনায় নথিভুক্ত করার জন্য দপ্তর থেকে সচেতন করা হয়। এ কাজের জন্য প্রতি ব্লকে এক জন করে পরিদর্শক (এসএলও) আছেন। শ্রমিকেরা আবেদনের ফর্ম পূরণ করে এসএলও’দের কাছে জমা করেন। এসএলও’রা সেই ফর্ম দেখে অনলাইনে আপলোড করে। এভাবে শ্রমিকদের নাম দপ্তরে নথিভুক্ত হয়। সামাজিক সুরক্ষা যোজনায় নথিভুক্ত শ্রমিকদের পিএফ অ্যাকাউন্ড খোলা হয়। এই অ্যাকাউন্টে সরকার প্রতি মাসে ৫৫ টাকা করে জমা করে। বিশেষ প্রয়োজনে তিন বছর পরে এই টাকা তোলা যায়। শ্রমদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রমদপ্তরে নাম নথিভুক্ত থাকলে শ্রমিক ও পরিবার বিভিন্ন সরকারি সুরিধা পায়। দুর্ঘটনার কারণে উপভোক্তার মৃত্যু হলে দু’লক্ষ টাকা ও সাধারণ মৃত্যুতে ৫০ হাজার টাকা পরিবারকে দেওয়া হয়। দুর্ঘটনায় মৃত্যু না হয়ে কোনও অঙ্গহানি হলেও আর্থিক সহায়তা পাওয়া যায়। পরিবহণ শ্রমিকরা মাসে ১৫০০ ও নির্মাণ শ্রমিকরা ৭৫০ টাকা করে পেনশন পান।
ওয়াকিবহাল মহল বলছে, করোনার জেরে লকডাউনে বহু শ্রমিক কাজ হারিয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন। তাঁদের একাংশের নাম শ্রমদপ্তরে নথিভুক্ত নেই। নথিভুক্ত শ্রমিকদের জন্য সরকার যেসমস্ত সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে, দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে গিয়ে মানুষ তা জানতে পেরেছেন। কারণ, ক্যাম্পে বিভিন্ন দপ্তরের স্টলের সঙ্গে শ্রমদপ্তরেরও একটি স্টল ছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমাজের সবস্তরের মানুষের জন্য প্রকল্প করেছেন। দুয়ারে সরকার কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারি দপ্তরগুলিকে মানুষের কাছে এনে দিয়েছেন। এর ফলে দীর্ঘদিন অফিসে ঘুরে ঘুরে যে কাজ করা সম্ভব হয়নি, তা অতি সহজেই হয়ে যাচ্ছে। শ্রমিক শ্রেণির মানুষ প্রকল্পের সুবিধার জন্য পঞ্চায়েত ও ব্লক অফিসে ঘুরপাক খেতে থাকলে তার দিনের রোজগার বন্ধ হয়ে পড়বে। এবার দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের মধ্যে শ্রমিকের দুয়ারেই কাজ হচ্ছে। সুবিধা পেয়ে উপভোক্তারা মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।