কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
জেলা বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি মাসের ৭ তারিখ থেকে জেলাজুড়ে মণ্ডল ভিত্তিক মিটিং শুরু হয়েছে। কারা দল ছেড়ে চলে গিয়েছেন, তাঁদের নামের তালিকা দ্রুত তৈরি করতে সেই মিটিংয়ে স্থানীয় মণ্ডল নেতৃত্বকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। ওইসব ফাঁকা পদে নতুন করে দায়িত্ব দেওয়া হবে। কাকে দায়িত্ব দেওয়া যায়, তাঁর নামও চাওয়া হচ্ছে। কিন্তু, সেই নাম বাছতে গিয়ে সাংগঠনিক কাজে দক্ষ সেরকম লোক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। যদিও জেলা নেতাদের দাবি, সবদিক দেখেশুনে দ্রুত শূন্যপদে যোগ্য কর্মীকে দায়িত্ব দেওয়া হবে।
কোচবিহার জেলা বিজেপি সভানেত্রী তুফানগঞ্জের বিধায়ক মালতী রাভা রায় বলেন, আমরা প্রতিটি মণ্ডলে গিয়ে মিটিং করছি। গত ক’মাসে অনেকেই তৃণমূলের চাপে বা হুমকিতে দলত্যাগ করেছেন। অনেকে ভয়ে বসে গিয়েছেন। আমরা সেই নামের তালিকা মণ্ডল সভাপতিদের কাছ থেকে জমা নিচ্ছি। আমরা জেলায় দলের ছ’জন বিধায়ক রয়েছি। শূন্যপদ পূরণ করতে সময় লাগবে না। মানুষ আমাদের সঙ্গে ছিল, সে জন্যই আমরা লোকসভা থেকে বিধানসভা ভোটে জিতেছি। এখনও ভোটাররা আছেন। আগামী দিনের নির্বাচনগুলিতেও আমরাই জিতব।
প্রসঙ্গত, এবারের বিধানসভা ভোটে কোচবিহার জেলার ন’টি আসনের মধ্যে সাতটিতেই বিজেপি জয়লাভ করে। দিনহাটা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক। তিনি এমপি থাকায় দলের নির্দেশে এমএলএ পদে থেকে ইস্তফা দেন। ফলে বর্তমানে জেলায় বিজেপির ছ’জন বিধায়ক রয়েছেন। জেলায় দলের ফল ভালো হলেও রাজ্যে ক্ষমতা দখলের স্বপ্নভঙ্গ হয় বিজেপির। ভোটের পর রাজ্য এবং কেন্দ্রীয়স্তরের একাধিক শীর্ষ নেতা বিজেপি ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখান। ভাঙনের সেই রেশ কোচবিহারেও আছড়ে পড়ে। জেলায় প্রচুর বিজেপি কর্মী, মণ্ডল, বুথ এমনকী জেলা স্তরের পদাধিকারী তৃণমূলে গিয়ে নাম লেখান। ফলে জেলায় সাংগঠনিক কাঠামোয় বড় শূন্যপদ তৈরি হয়েছে। শুধু মাথাভাঙা মহকুমার দু’টি বিধানসভা কেন্দ্রের ১২টি মণ্ডলের প্রায় ১০০ বুথ সভাপতি বিজেপি ছেড়ে চলে গিয়েছেন। একইসঙ্গে মণ্ডল স্তর সহ বিভিন্ন শাখা সংগঠনের পদাধিকারীরা দল ছেড়েছেন। শীতলকুচি বিধানসভার মিডিয়া সেলের সমস্ত কর্মীই তৃণমূলে যোগদান করেছেন। তাছাড়া জেলার অনেক পদাধিকারীই এখন বিজেপির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।