বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
উত্তমাশা ক্লাবের অন্যতম সদস্য সঞ্জিত চন্দ বলেন, রাজ্য সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পকে আমরা বেছে নিয়েছি। বাড়ির মহিলারা যেমন টাকা সঞ্চয় করে পরিবারের অর্থনীতি ধরে রাখেন, তেমনই আগামীতে জল সঞ্চয় না হলে পৃথিবী ধ্বংসের মুখে পড়বে। এনিয়ে আমরা মানুষকে সচেতন করতে জল ধরো জল ভরো প্রকল্পের মাধ্যমে সচেতনতা মূলক বার্তা দিতে চাইছি। আশা করছি, আমাদের পুজো এবার জেলার মধ্যে চমক দেবে। করোনা বিধি মেনে আমরা পুজোর আয়োজন করছি। পুজো মণ্ডপে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের পাশাপাশি যারা মাস্ক পরে আসবে না, তাদের কমিটির তরফে মাস্ক দেওয়া হবে।পুজোর দায়িত্বে থাকা ডেকরেটর সংস্থার মালিক তথা ক্লাব সভাপতি রঞ্জিত সাহা বলেন, প্রতি বছর উত্তমাশা ক্লাবের পুজো মণ্ডপ তৈরির দায়িত্ব নিয়ে থাকি। এবারেও নিয়েছি। এই মুহূর্তে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প রাজ্যজুড়ে হইচই ফেলে দিয়েছে। সেকারণে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে আমরা থিম হিসেবে বেছে নিয়েছি। তার সঙ্গে ‘জল ধরো জল ভরো’ প্রকল্প রয়েছে। করোনার জেরে বাইরে থেকে শিল্পীরা আসছেন না। জেলার শিল্পীদের নিয়ে কাজ করছি। আশা করছি, আমাদের আয়োজন দর্শনার্থীদের মন জয় করবে। মৃৎশিল্পী ভোলা পাল বলেন, মাটির মডেল তৈরির কাজ শুরু করেছি। ছোট বড় মিলিয়ে প্রচুর মডেল থাকবে।উত্তমাশা ক্লাব চত্বরে রয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উচ্চ বিদ্যালয়। সেখানে এবারে রাজ্য সরকারের দুয়ারে সরকার ক্যাম্প হয়েছে। তবে পুজোর থিমে ক্লাব কর্তারা যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পকে থিম হিসেবে বেছে নেবেন তা শুনে অনেকে হতবাক। মাটির প্রচুর মডেল তৈরি করা হচ্ছে। সেই মডেলগুলি দিয়ে ক্যাম্প তৈরি হবে। দেবী লক্ষ্মী পুজো মণ্ডপে সরকারি কর্মীর ভূমিকায় থাকবেন। অন্যদিকে, জল ধরো জল ভরো প্রকল্পের থিমের জন্য ৬০ ফুট দীর্ঘ মরুভূমি তৈরি করা হচ্ছে। সেই মরুভূমির উপর লাল বালির এমন স্তর তৈরি করা হবে যেন অবিকল মরুভূমির মতো মনে হয়। সেখানে দেবী দুর্গা পৃথিবীকে কোলে নিয়ে জল সঞ্চয় করার বার্তা দেবেন। মা সরস্বতী এখানে বই হাতে নিয়ে চিন্তিত অবস্থায় থাকবেন। করোনার জেরে স্কুল, কলেজ বন্ধ থাকায় আগামীতে পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত বিদ্যার দেবী। অন্যদিকে, পৃথিবীকে বাঁচাতে কার্তিককে জল নিয়ে মরুভূমি দিয়ে হেঁটে যেতে দেখা দেবে। করোনা আবহ চলে গিয়ে যাতে সবকিছু আগের মতো স্বাভাবিক হয়, সেজন্য গণেশ প্রার্থনারত। পুজো মণ্ডপের সব চেয়ে আকর্ষণ থাকবে উট। অবিকল উটের মতো ফাইবারের মডেল বানানো হচ্ছে।