কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, চা আইনের সংশোধনে আমরা উদ্বিগ্ন। কেন্দ্রে একটি শিল্প ধ্বংসকারী সরকার এসেছে। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানাচ্ছি। এই আইনের বিরুদ্ধে খুব শীঘ্রই বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনায় আমরা বসব। চা বাগান মালিকদের আশঙ্কা, এই আইন সংশোধনের দরুণ চায়ের উৎপাদনে আর কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। চা বাগান করার জন্য টি বোর্ডেরও কোনও লাইসেন্স লাগবে না। যে কেউ চা বাগান গড়তে পারবে। উত্তরের চা বিশেষজ্ঞ রামঅবতার শর্মা বলেন, টি বোর্ডের অনুমতি ছাড়া যে কেউ চা বাগান তৈরি করতে পারে না। এখন চায়ের উৎপাদনকে বাজার অর্থনীতির দিকে ঠেলে দেওয়া হল। যে কেউ নিম্নমানের চা উৎপাদন করবে। চা মালিকদের বৃহৎ সংগঠন ডিবিআইটিএ’র সচিব সঞ্জয় বাগচি বলেন, প্রতি বছর ২০ লক্ষ কেজি অতিরিক্ত চা উৎপাদন হচ্ছে। গত পাঁচ বছরে চায়ের দামও বৃদ্ধি পায়নি। এবার টি অ্যাক্ট সংশোধনের দরুণ চা উৎপাদনে আর নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। যত্রতত্র চা বাগান হলে বা চায়ের উৎপাদন হলে চায়ের গুণগত মানও ধরে রাখা যাবে না। উদ্বৃত্ত চা বিক্রির বাজারও থাকবে না। চা শিল্পের এই বিপদ শ্রমিকদের বোঝাতেই তৃণমূল এবার চা শ্রমিকদের নিয়ে ব্লক ভিত্তিক দু’দিনের আবাসিক শিবির করা শুরু করল। আবাসিক শিবিরগুলিতে বক্তব্য রাখছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি প্রকাশচিক বরাইক, জেলা পরিষদের সভাধিপতি শীলা দাস সরকার, আইএনটিটিইউসি’র জেলা সভাপতি বিনোদ মিনজ সহ দলের চা শ্রমিক সংগঠনের নেতারা। শুধু টি অ্যাক্ট সংশোধনের বিপদই নয়, কেন্দ্রীয় সরকার যে চা শ্রমিকদের নিয়ে কিছুই করেনি শিবিরে তাও তুলে ধরা হচ্ছে। অন্যদিকে, চা শ্রমিকদের জন্য রাজ্য সরকার এতদিন কী কী করেছে শিবিরে তাও বিস্তারিতভাবে শ্রমিকদের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে। প্রকাশচিক বরাইক বলেন, টি অ্যাক্ট সংশোধনের দরুণ চা শিল্প বিপদের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। আমরা সেটাই বোঝাচ্ছি শ্রমিকদের। বিজেপি যে মিথ্যা কথা বলে শ্রমিকদের ভোট নিয়েছিল, সেটাও শিবিরে তুলে ধরা হচ্ছে। আবাসিক শিবিরগুলিতে প্রতিটি চা বাগান থেকে প্রতিনিধি হিসেবে চার-পাঁচজন শ্রমিককে ডাকা হচ্ছে। যদিও বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গা বলেন, তৃণমূল শ্রমিকদের ভুল বোঝাচ্ছে। এতে তৃণমূলের কোনও লাভ হবে না।