কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ডিন ডাঃ সন্দীপ সেনগুপ্ত বলেন, শিশুদের এখন যে জ্বর হচ্ছে, তাতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। প্রতিবছরই এসময় শিশুদের এ ধরনের জ্বর, সর্দি- কাশি হয়। এতদিন এ ধরনের জ্বরে বাড়িতে রেখেই পরিচিত চিকিৎসকের সঙ্গে ফোনে কথা বলেই অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের চিকিৎসা করাতেন। তাতে শিশুটি সুস্থ হয়েও উঠত। কিন্তু এবার করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা রয়েছে। তাই কেউ আর ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। ফলে সকলেই হাসপাতলে আসছেন। এতদিন এই সময়ে যে শিশুরা আক্রান্ত হয়েছে এবং এবার যারা আক্রান্ত হচ্ছে, তার মধ্যে কোনও নতুনত্ব বা উদ্বেগের কোনও বিষয় নেই। এ প্রসঙ্গে ডাঃ মধুমিতা নন্দী বলেন, এতদিন আক্রান্তদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট করে ভাইরাস চিহ্নিতকরণের বিষয়টি আসেনি। সাধারণভাবে গ্রুপ অব ভাইরাস হিসেবে চিকিৎসা হয়েছে। তাতে আক্রান্ত শিশু সুস্থ হয়েও উঠেছে। এবার যেহেতু পরিস্থিতি অন্যরকম সেকারণেই আলাদা আলাদা পরীক্ষা করা হচ্ছে। সরকারি হাসপাতালে সেই সুযোগ রয়েছে। তাতে আরএস ভাইরাস, ইনফ্লুয়েঞ্জা বি, এ ধরনের প্রত্যেকটি ভাইরাসের সংক্রমণ আলাদাভাবে চিহ্নিত হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে জ্বর ও সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত শিশুদের রক্তে প্লেটলেট কমে যাচ্ছে। কিন্তু ডেঙ্গুও ধরা পড়ছে না। ডাঃ মধুমিতা নন্দী বলেন, প্লেটলেট কমেছে বলে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। যে কোনও ভাইরাসের সংক্রমণে জ্বর হলে প্লেটলেট কিছুটা কমে যায়। উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুপার ডা: সঞ্জয় মল্লিক জানিয়েছেন, উদ্বেগজনক পরিস্থিতি এখনও তৈরি হয়নি। তবে আমরা করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য আগে থেকেই তৈরি রয়েছি।