বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মাথাভাঙা-১ ব্লকের ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মধ্যে পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ফিশারি ট্যাঙ্ক করা হয়েছে। এরমধ্যে হাজরাহাট-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে ৮০০টি, হাজরাহাট-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে ৪০০টি, শিকারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ১০৬১টি, গোপালপুরে ১২০০টি, পচাগড় গ্রাম পঞ্চায়েতে ৪০০টি। এরমধ্যে পচাগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৩০টি ট্যাঙ্কের বিল ঠিকাদারকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। ট্যাঙ্ক তৈরির এই অনিয়ম নিয়ে ইতিমধ্যে মাথাভাঙা-১ ব্লকের বিডিওকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন বেনিফিসিয়ারি। অভিযোগকারীদের দাবি, ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের টাকা থেকে প্রতিটি ট্যাঙ্কের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল ৮১ হাজার ৬২৯ টাকা। তার মধ্যে সামগ্রী দিয়ে ট্যাঙ্ক তৈরির জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৬৬ হাজার ৮০ টাকা। মাছ প্রতিপালনের জন্য প্রতিটি উপভোক্তা পাবেন ১৫ হাজার ৫৪৯ টাকা। অভিযোগ সামগ্রী দিয়ে ট্যাঙ্ক তৈরি করা নিয়ে। এত টাকা ট্যাঙ্কের জন্য বরাদ্দ করা হলেও কাজ হয়েছে একেবারে নিম্নমানের।
অভিযোগ, কম দামের সিমেন্ট ও নিম্নমানের ইট ব্যাবহার করে ট্যাঙ্ক তৈরি করা হয়েছে। আর এই অভিযোগ সামনে আসতেই ব্লক প্রশাসন ও গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ মুখে কুলুপ এঁটেছে। পঞ্চায়েত সমিতির একাংশের দাবি, জেলায় এই ফিশারি ট্যাঙ্ক নিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে এধরনের প্রকল্প তৈরিতে অনুমোদন দেয়নি জেলা প্রশাসন। তারপরও কেন ট্যাঙ্ক তৈরির নামে অনিয়ম করা হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন শাসক দলেরই একাংশ জনপ্রতিনিধি।
এব্যাপারে মাথাভাঙা-১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তৃণমূল কংগ্রেসের মজরুল হোসেন বলেন, ফিশারি ট্যাঙ্ক তৈরিতে জেলা প্রশাসনের অনুমোদন নেই। আমরা সেটা খোঁজ নিয়ে দেখেছি। অনিয়মের অভিযোগ আমাদের কাছেও এসেছে। সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এনিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি মাথাভাঙা-১ ব্লকের বিডিও সম্বল ঝা। অপরদিকে শিকারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের স্বামী তৃণমূল নেতা গজেন বর্মন বলেন, আমাদের গ্রাম পঞ্চায়েতে ফিশারি ট্যাঙ্ক তৈরিতে কোনও দুর্নীতি হয়নি। অন্য প্রধানদের ফোন করা হলেও কেউ এনিয়ে কথা বলতে চায়নি।