নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: বছর দেড়েক আগে করোনা পরিস্থিতি শুরুর সময় থেকে কোচবিহার পুরসভার বিভিন্ন খাতে আয় কমতে শুরু করেছিল। বিশেষ করে কর আদায় বন্ধ হয়ে পড়েছিল। পাশাপাশি টোল গেট, হোর্ডিং প্রভৃতি থেকেও আয় কম হচ্ছিল। এছাড়াও ভুয়ো অস্থায়ী কর্মীদের মজুরি দিতে পুরসভার অতিরিক্ত টাকা ব্যয় হচ্ছিল। এই পরিস্থিতিতে কয়েক মাস ধরে পুরসভা আয় বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়। আর এজন্য আয়ের বিভিন্ন খাতে তারা নজরদারি শুরু করে। লাগাতার প্রয়াস চালিয়ে এখন পুরসভা বেশ কয়েকটি খাতে আগের তুলনায় বেশি আয় করছে বলে দাবি। ব্যয়ের উপরেও তারা বিশেষ নজর দিচ্ছে। ফলে আগামী দিনে এই আয় আরও বাড়বে বলে পুরকর্তারা মনে করছেন। কোচবিহার পুরসভার প্রশাসক শেখ রাকিবুর রহমান বলেন, পুরসভার আয় বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। তারজন্য কর আদায়ে জোর দিয়েছি। যদিও করোনা পরিস্থিতিতে কিছু জায়গা থেকে নিয়মিত কর আদায় করতে সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু, এর মধেই আমাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কোচবিহার পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরসভা এলাকায় তিনটি টোল গেট থেকে ক’মাস আগেও দিনে মাত্র তিন থেকে চার হাজার টাকা আয় হচ্ছিল। সেখানে ৫২ জন অস্থায়ী কর্মী ছিলেন। তাঁদের বেতন দিতেই পুরসভার খরচ হয়ে যাচ্ছিল প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা। সম্প্রতি পুরসভা সেখানকার কর্মী সংখ্যা কমিয়ে দেয়। এখন ২৭ জন কাজ করছেন। দিনে এখন প্রায় ১৪ হাজার টাকা আয় হচ্ছে। কোচবিহার পুরসভা হোর্ডিং লাগানো বাবদ বিভিন্ন এজেন্সির থেকে ২৩ লক্ষ টাকা পেত। সম্প্রতি সেখান থেকে ১৫ লক্ষ টাকা আদায় করা হয়েছে। পুরসভা ২০২১ সালের মে মাসে কর বাবদ আয় করেছিল মাত্র সাড়ে চার লক্ষ টাকা। জুন মাসে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৯ লক্ষ ৮১ হাজার। জুলাই মাসে সেই আয় আরও বেড়ে দাঁড়ায় ১১ লক্ষ ৮৭ হাজার টাকা। পুরসভা মাস কয়েক আগে অস্থায়ী কর্মীদের মজুরি  দিতে গিয়ে লক্ষ্য করে মোট ৮২ জন ভুয়ো অস্থায়ী শ্রমিক রয়েছেন। এদের মজুরি বাবদ বছরে পুরসভার ৬০ লক্ষ টাকা করে অতিরিক্ত খরচ হয়ে যাচ্ছিল। যা কার্যত জলে যাচ্ছিল। বর্তমানে পুরসভার সেই টাকাও বেঁচে যাচ্ছে।