বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
এখন জেলার মহকুমা হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে টেলি মেডিসিনের মাধ্যমে ওই রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। রোগীরা এই ব্যবস্থার মাধ্যমে চিকিৎসকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে পারছেন। রোগীর আগে থেকে যদি কোনও ওষুধের প্রেসক্রিপশন থাকে সেটিও এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্দিষ্ট পোর্টালে আপলোড করা হচ্ছে। যা ওই চিকিৎসকরা সঙ্গে সঙ্গে দেখতে পারছেন। কমিউনিটি হেলথ অফিসারের মাধ্যমে রোগীরা সেখান থেকেই প্রয়োজনীয় ওষুধ পেয়ে যাচ্ছেন। ফলে জেলার প্রান্তিক এলাকায় বসেই সাধারণ মানুষ খুব সহজে জটিল রোগের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের চিকিৎসা পাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।
জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় দু’টি ধাপে এ কাজ হচ্ছে। জেলায় মোট ২০১টি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র আছে। এরমধ্যে ৯৭টি কেন্দ্রে টেলি মেডিসিন পরিষেবা চালু হয়েছে। বাকিগুলিতে ধাপে ধাপে এই পরিষবা চালু হবে। জেলায় এই কাজের জন্য চারটি মহকুমা হাসপাতালে দু’জন করে চিকিৎসককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আগামিদিনে কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজের নির্দিষ্ট সংখ্যক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক স্বাস্থ্য ইঙ্গিত প্রকল্পের অধীনে এই পরিষেবার অন্তর্ভুক্ত হবেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের তালিকাও তৈরি করা হচ্ছে।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারি ডাঃ সুকান্ত বিশ্বাস বলেন, জেলায় স্বাস্থ্য ইঙ্গিত প্রকল্পের পরিষেবা চালু হয়েছে। মঙ্গলবার এ বিষয়ে রাজ্যস্তরে একটি রিভিউ মিটিং হয়। কিছু জায়গায় এটি চালু হয়ে গিয়েছে। বাকি জায়গায় ধাপে ধাপে স্বাস্থ্য ইঙ্গিত পরিষেবা চালু হবে।
কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল ডাঃ সুকুমার বসাক বলেন, রাজ্যজুড়ে একটি টেলি মেডিসিন ব্যবস্থা শুরু হচ্ছে। সর্বসাধারণের মধ্যে চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এদিন এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিবের নেতৃত্বে আলোচনা হয়। অনেকেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছে পৌঁছতে পারেন না। টেলি মেডিসিনের মাধ্যমে চিকিৎসা নিতে তাঁদের সুবিধা হবে।