রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
এবিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক আয়েষা রানি বলেন, এদিন মুখ্যমন্ত্রী এই নতুন পরিষেবা চালু করেছেন। আমাদের জেলায় ৫৯টি কেন্দ্রে এই পরিষেবা চালু হয়েছে। এই উদ্যোগে বহু মানুষ উপকৃত হবেন। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে বলেন, আমাদের ৫৯টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে এই টেলি মেডিসিন সেন্টার খোলা হল। আমাদের এই সেন্টারগুলি থেকে ভিভিও কলের মাধ্যবে যাবতীয় চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হবে। জেলায় দু’টি জায়গা থেকে এই ভিডিও কলগুলি রিসিভ করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা পরামর্শ দেবেন।
জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার বিভিন্ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। সেই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলির মধ্যে ৫৯টিকে বেছে নেওয়া হয়েছে। বালুরঘাটে ২৩টি, হিলির দু’টি, তপনের আটটি, কুমারগঞ্জের আটটি, গঙ্গারামপুরে ১৩টি, হরিরামপুরে তিনটি, বংশীহারি এবং হরিরামপুরে একটি করে টেলি মেডিসিন পরিষেবা কেন্দ্র চালু হয়েছে। এছাড়াও জেলায় দু’টি টেলি মেডিসিন নিয়ন্ত্রণ সেন্টার করা হয়েছে। বালুরঘাট জেলা সদর হাসপাতাল এবং গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালে প্রধান সেন্টার দু’টি থাকছে। ওই সেন্টারে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত বিশেষজ্ঞ ও অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা থাকবেন। তাঁরাই মূলত ভিডিও কলের মাধ্যমে ওই ৫৯টি কেন্দ্রের রোগীদের পরামর্শ দেবেন। এই পরিষেবা চালুর জন্য ইতিমধ্যেই জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে সেন্টারগুলিতে ল্যাপটপ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সাব সেন্টারের স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার থেকেই এই পরিষেবা পাওয়া যাবে বলে জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে বহু মানুষের কো-মর্বিডিটি রয়েছে। এছাড়াও বহু যুবক ইদানীং সুগার, প্রেসার, থাইরয়েড সহ বহু রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। শহরের সাধারণ মানুষ দ্রুত চিকিৎসকদের কাছে ওই পরিষেবা পেলেও গ্রামের মানুষকে ডাক্তার দেখাতে শহরে বা হাসপাতালে আসতে হয়। তাই এবার থেকে নিজের বাড়ির কাছেই ওই পরিষেবা মিলবে। উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে সরাসরি এই পরিষেবা মিলবে। মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন জেলার বাসিন্দারা।