কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
এদিন সকালে বিমানবন্দর চত্বরে ঘাস কাটছিলেন শশীবালা। আচমকা একটি চিতাবাঘ তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। চিতাবাঘটি প্রৌঢ়ার গলার কাছে থাবা বসায়। গভীর ক্ষত হয়েছে জায়গাটি। স্থানীয়রা জখম ওই প্রৌঢ়াকে উদ্ধার করে বাগডোগরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে বাগডোগরা রেঞ্জ, বাগডোগরা এলিফ্যান্ট স্কোয়াড ও সুকনা ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াডের বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে চিতাবাঘের খোঁজে নামেন। তবে বিকেল পর্যন্ত চিতাবাঘের হদিশ পাননি তাঁরা। বন বিভাগের কার্শিয়াংয়ের এডিএফও চিন্ময় বর্মন বলেন, আহত মহিলার চিকিৎসার সমস্ত খরচ দেবে বনদপ্তর। মেডিক্যালে তাঁর চিকিৎসা চলছে। চিতাবাঘ ধরতে তল্লাশি শুরু করা হয়েছে। প্রয়োজনে চিতাবাঘ ধরার জন্য খাঁচা পাতা হবে। বনদপ্তর চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখছে না।
প্রসঙ্গত, গত মাসেও বাগডোগরা বিমানবন্দর চত্বরে চিতাবাঘের হামলায় এক অস্থায়ী শ্রমিক আহত হন। স্থানীয় একটি পরিবেশপ্রেমী সংগঠনের সম্পাদক সন্দীপ সরকার বলেন, কিছুদিন আগেই বিমানবন্দর চত্বরেই চিতাবাঘের হামলায় এক অস্থায়ী শ্রমিক সহ একবনকর্মী জখম হন। কিন্তু, তারপরেও চিতাবাঘ ধরতে বনবিভাগের কোনও তৎপরতা দেখা যায়নি। বিমানবন্দর সংলগ্ন ঝোপঝাড় চিতাবাঘের লুকিয়ে থাকার আদর্শ জায়গা হয়েছে। আমাদের আশঙ্কা, যেকোনও দিন চিতাবাঘ রানওয়ে কিংবা লাউঞ্জে চলে আসবে। বিমানযাত্রীদের সুরক্ষায় প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বিমানবন্দর সংলগ্ন ঝোপঝাড় পরিষ্কার করা হলে হয়তো এর থেকে মুক্তি মিলতে পারে।
বাগডোগরা বিমানবন্দরের ডিরেক্টর সুব্রমণি পি বলেন, এদিন দু’জন মহিলা বিমানবন্দরের বাইরে ঘাস কাটছিলেন। ওই সময় এক মহিলার উপর চিতাবাঘ হামলা করে বলে শুনেছি। কার্গো সেন্টার সংলগ্ন এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। সেটি বিমানবন্দর থেকে আলাদা। যদিও বাঘ ধরতে বনকর্মীরা এলাকায় আছেন। বিকেল ৫টার পর উড়ান ওঠানামা বন্ধ হলে বনবিভাগকে বিমানবন্দর চত্বরে তল্লাশি চালাতে বলা হয়েছে।