পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পুলিস সুপার রাহুল দে বলেন, হিলি থানার আইসি যেভাবে প্রতিদিন সাইকেল নিয়ে নিজ এলাকায় টহলদারি করছেন তা খুবই প্রশংসনীয়। তাঁকে দেখে আগামীতে বাকি থানার পুলিস কর্মীরাও উৎসাহিত হয়ে নিজ থেকে এমন উদ্যোগ নেবেন বলে আশা করছি। হিলি থানার আইসি বলেন, থানায় অনেকে ভয়ে আসতে চায় না। অন্যদিকে আমরা চারচাকা গাড়িতে করে গেলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে সেভাবে কথা বলতে পারি না। তাঁরাও আমাদের কাছে আসতে পারেন না। যেকারণে এলাকায় সাইকেল নিয়ে টহলদারি চালাচ্ছি। মানুষের অভিযোগ শোনার পাশাপাশি করোনা নিয়ে তাদের সচেতন করছি।
হিলির বাসিন্দা তথা সমাজসেবী বঙ্গরত্ন পুরষ্কারে সম্মানিত অমূল্য রতন বিশ্বাস বলেন, সাইকেল চেপে থানার আইসি মানুষের দুয়ারে যেভাবে যাচ্ছেন তা খুবই প্রশংসনীয়। এতে মানুষ সহজেই তাদের অভাব অভিযোগ পুলিসের কাছে তুলে ধরতে পারছে। হিলির বক্সিগঞ্জের বাসিন্দা দেবু দাস বলেন, বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। দেখছি আইসি সাহেব সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছেন। সত্যিই প্রথমে হতবাক হয়েছি। আমার একটি ছোট সমস্যা ছিল। স্যারকে বলা মাত্র তিনি সমাধান করে দেন। এভাবে মানুষের পাশে স্যার থাকবেন এমনটাই চাই আমরা।
পুলিসের নাম শুনলেই মানুষের মধ্যে ভয়ভীতি তৈরি হয়। তেমনি নানা সময় পুলিস মানুষের ক্ষোভের মুখেও পড়ে। তবে পুলিস যে মানুষের দুয়ারে এসে তাদের সমস্যার কথা শুনে সমাধান করে, আইসি গণেশ শর্মা সেই নজির সৃষ্টি করেছেন। থানা থেকে পুলিস ও সিভিকদের নিয়ে যখন তখন সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়ছেন। হিলির সীমান্ত এলাকায় পাচারকার্য, লরি ওভারটেক, মাদকাসক্তদের দৌরাত্ম্যের সঙ্গে অসামাজিক কাজ বেড়ে গিয়েছে। টহলদারির সময় পুলিস কর্মীদের কাছে থাকছে ডায়েরি। এলাকার মোড়ে মোড়ে কখনও চায়ের দোকানে তো কোথাও জনবহুল এলাকায় দাঁড়িয়ে অভিযোগ শুনে সেগুলি সমাধানের চেষ্টা করছেন।