কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
চার বছর আগেই বিপদ ঘণ্টা বাজিয়ে আগ্রাসী হয়ে ওঠে পিছলা নদী। প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ। সেই সুযোগে আপন বেগে পিছলা নদী পাড় ভেঙে সরতে সরতে ফাঁসিদেওয়া আবাসিক উচ্চতর বালিকা বিদ্যালয়ের খুব কাছাকাছি চলে এসেছে। এবারের বর্ষায় পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মমতা চক্রবর্তী এই সমস্যার বিষয়টি ফাঁসিদেওয়ার বিডিও এবং জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে জানিয়েছেন। বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সভাপতি অজয় ঝা বলেন, বিষয়টি বিডিও এবং ডিআইকে একাধিকবার জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও সাড়া পাইনি। এখন পিছলা নদীর যা অবস্থা তাতে ভয় হচ্ছে, কোনও দিন না গোটা স্কুলভবনটি ধসে পড়ে। এটি আবাসিক স্কুল হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থীর বিছানা সহ বিভিন্ন আসবাবপত্র জলে ভিজে যায়। কারণ, ছাদে ফাটল ধরেছে। সেখান দিয়ে জল পড়ছে। এখন বর্ষাকাল, নদীতে জল বাড়ছে। মাটি আলগা ও নরম হয়ে গিয়েছে। বড় ভূমিকম্প হলেও স্কুলভবনটি ভেঙে পড়বে। কী করব বুঝতে পারছি না। আমরা আতঙ্কে রয়েছি। ফাঁসিদওয়ার বিডিও সঞ্জু গুহ মজুমদার গোটা বিষয়টি জানেন। তিনিও স্বীকার করেছেন, স্কুলটি বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। তিনি বলেন, পিছলা নদী সেচদপ্তরের ম্যাপ বা তালিকায় নেই। ফলে এই নদীর বাঁধ দেওয়ার দায়িত্ব তাদের নয়। তাই শিক্ষাদপ্তরে জানানো হয়েছে। কিন্তু সেখান থেকে সাড়া পাইনি। গ্রাম পঞ্চায়েত তথা ব্লকের মাধ্যমে দ্রুত কীভাবে এই সমস্যার সমাধান করা যায় তা দেখা হচ্ছে।