গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
ময়নাগুড়ির রানিরহাট মোড়ে রাস্তায় পূর্তদপ্তরের বছর খানেক আগে লোহার হাইট ব্যারিয়ার বসায়। গাড়িচালকদের অভিযোগ, গতবছর লকডাউনের সময়ে যখন রাস্তায় গাড়ির চলছিল না, সেই সময় সেটি লাগিয়ে দেওয়া হয়। তা ছাড়া সেখানে রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। এমন অবস্থায় রাস্তা উঁচু হয়ে যাওয়ায় বাসগুলি ওই হাইট ব্যারিয়ারে আটকে যাচ্ছে। এদিকে পূর্তদপ্তর ওই রাস্তার পাশেই কাঁচা রাস্তায় মাটি সমান করার কাজ করায় সেখান দিয়েও যানবাহন যেতে পারছে না। ফলে গাড়িচালকরা বাধ্য হয়ে রাস্তা অবরোধ করেন।
রানিরহাট মোড় দিয়ে প্রতিদিন আটটি বাস চলাচল করে। এছাড়াও ছোট গাড়ি প্রচুর যায়। এই রাস্তা দিয়ে কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ, চ্যাংরাবান্ধা যাওয়া যায়। রাস্তাটি দিয়ে দ্রুত কোচবিহার জেলার বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছনো যায়। অবরোধের ফলে নিত্যযাত্রীরা সমস্যায় পড়েন। যদিও অনেক গাড়ি ঘুরপথে গন্তব্যের দিকে রওনা হয়।
বাসের মালিক ধীরাজ বর্মন বলেন, লকডাউনে আমাদের গাড়ি বসে ছিল। কিছুদিন হল গাড়ি বের করেছি। হাইট ব্যারিয়ারের জন্য এতদিন কাঁচা রাস্তায় গাড়ি নামিয়ে ফের পিচের রাস্তায় গাড়ি তুলে গন্তব্যে যাতায়াত করছিলাম। কিন্তু, এদিন দেখি, কাঁচা রাস্তায় মাটি খোঁড়া হচ্ছে এবং সমতল করা হচ্ছে। আমাদের বাস হাইট ব্যারিয়ারে আটকে যায়। এমনিতেই ক্ষতির মুখে, এর উপর যাত্রী পরিবহণ বন্ধ রাখলে না খেয়ে মরতে হবে। আমরা অবিলম্বে হাইট ব্যারিয়ার সরানোর দাবি জানিয়েছি প্রশাসনের কাছে। নইলে ফের অবরোধ বিক্ষোভ হবে। এদিন জয়েন্ট বিডিওর সঙ্গে দেখা করে সমস্যার কথা তুলে ধরি।
ময়নাগুড়ির জয়েন্ট বিডিও শুভম চক্রবর্তী বলেন, গাড়ির চালকরা এসেছিলেন। তাঁদের লিখিত দিতে বলেছি। বিষয়টি দেখা হবে। পূর্তদপ্তরের সঙ্গেও কথা বলা হবে। পূর্তদপ্তরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার দীপক মণ্ডল বলেন, জাতীয় সড়কে কাজ হচ্ছে। তাই ভারী যানবাহন এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করছিল। রস্তাটি ভারী গাড়ি চলাচলের জন্য নয়। তাই হাইট ব্যারিয়ার দেওয়া হয়েছে। বাসচালকদের সমস্যার বিষয়টি জানা ছিল না। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পদক্ষেপ করব।