কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
মাথাভাঙা-২ ব্লকের বাসিন্দা কোচবিহার জেলা পরিষদের সভাধিপতি উমাকান্ত বর্মন বলেন, কৃষক বাজার চালু করার ব্যাপারে অতীতে বেশ কয়েকবার চেষ্টা চালিয়েছি। কিন্তু, শেষপর্যন্ত হয়নি। কয়েকটি স্টল বিলিও করা হয়েছে। আসলে সব স্টল বণ্টন না হওয়ায় ব্যবসায়ীরা দোকান খুলতে রাজি হচ্ছেন না। রাস্তার পাশে যাঁরা দোকান করছেন, তাঁরা কৃষক বাজারের ভিতরে বসলে বাজারটি চলত। সেই ব্যবসায়ীরাও সেখানে যেতে চাইছেন না। আমরা বাজারটি চালুর ব্যাপারে চেষ্ট চালাচ্ছি। সব্জি সহ কৃষিপণ্যের পাইকারি বাজার যাতে বসে, সেব্যাপারে ব্যবসায়ী ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলব।
প্রাক্তন বনমন্ত্রী স্থানীয় বাসিন্দা বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, কৃষক বাজারে এখন সহায়ক মূল্যে ধান কেনা হচ্ছে। বাজারে ব্যবসায়ীদের জন্য যে স্টলগুলি করা হয়েছে, সেগুলির বণ্টন প্রক্রিয়া আটকে ছিল। তবে এখন যে কেউ ইচ্ছা করলেই স্টল কিনতে পারবেন। আমরা চাই, কৃষক বাজারটি সম্পূর্ণভাবে চালু হোক। এতে এলাকার ব্যবসার দিকটি যেমন প্রসারিত হবে, তেমনই কাঁচা পণ্যের পাইকারি বাজার বসলে চাষিরা উপকৃত হবেন। অনেকবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, কিন্তু প্রতিবার সেই উদ্যোগ কাজে আসেনি। ফের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলব। মাথাভাঙা-২ ব্লকের গুমানিতে জাতীয় সড়কের পাশে কৃষক বাজারটি করা হয়েছে। কৃষক বাজারের পাশের এলাকায় প্রচুর সব্জি চাষ হয়। বর্তমানে এখানকার চাষিদের উৎপাদিত সব্জি ঘোকসাডাঙা ও ফালাকাটা বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যেতে হয়। বাজারটি চালু হলে বাইরের পাইকাররা সহজে কৃষক বাজারে এসে সব্জি নিয়ে যেতে পারবেন। কারণ, বাজারের কাছেই রয়েছে গুমানি রেলস্টেশন। কবে বাজারটি চালু হবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। বাসিন্দাদের দাবি, কৃষকবাজার চালু হলে এলাকার মানুষ অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হবেন। উনিশবিশা, পাড়ডুবি, রুইডাঙা পঞ্চয়েত এলাকার কৃষকরা এখানে এসে সব্জি বিক্রি করতে পারবেন। যেহেতু জাতীয় সড়কের পাশেই বাজার, তাই পরিবহণের সুবিধা হবে পাইকারি সব্জি বিক্রেতাদের। যদিও প্রশাসনের দাবি, স্টল বণ্টনের জন্য বেশ কয়েকবার নোটিস করা হয়েছে। বাইরের শেডঘরে দোকান বসানোর জন্য ফুটপাত ব্যবসায়ীদের অনুমতিও দেওয়া হয়েছে। তারপরও ফুটপাত ব্যবসায়ীরা বাজারে আসছেন না।