পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সিকিমের সিংথাম থানার পুলিস একটি মাদক মামলা নিয়ে তদন্ত চালিয়ে ওই দাদা-ভাই গ্যাং সম্পর্কে তথ্য পায়। তা যাচাই করতে রবিবার এখানে আসে সিকিম পুলিসের একটি দল। ওইদিনই তারা প্রধাননগর থানার সহযোগিতায় চম্পাসারিতে একটি ওষুধের দোকানে হানা দিয়ে ওই গ্যাংয়ের মাথা দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করে। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতদের নাম কামরুল হুদা ও মুরতাজা আলম। বাঘাযতীন কলোনিতে ধৃতদের বাড়ি।
ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস ও গোয়েন্দারা জানিয়েছে, ওষুধের দোকানের আড়ালে মাদক কারবারের র্যাকেট তৈরি করেছিল ধৃতরা। তারা মূলত সিকিমে বৈধ ওষুধের প্যাকেটেই সরবরাহ করত নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ ও ট্যাবলেট। সিকিমের যার চাহিদা অস্বাভাবিক। কারবারের জাল বিস্তার করতে ধৃতরা কয়েকবার সিকিমেও গিয়েছিল। তাছাড়া ধৃতরা এই কারবার চালাত হোয়াটসঅ্যাপ কলের মাধ্যমে। সম্ভবত পুলিস ও গেয়েন্দাদের নজর এড়াতেই তারা এমন পন্থা নিয়েছিল। ধৃতরা অন্যান্য মাদকও সরবরাহ করত বলে তথ্য মিলছে। সেই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে যাচাই করা হচ্ছে।
জুন মাসে মাদক কারবারের অভিযোগে দু’জনকে গ্রেপ্তার করে সিকিমের সিংথাম থানার পুলিস। ধৃতদের মধ্যে একজন পুরুষ, আরএকজন মহিলা রয়েছে। ধৃতদের দেওয়া তথ্য অনুসারেই সিকিম পুলিস প্রধাননগর থানার পুলিসের সহযোগিতায় দাদা-ভাই গ্যাংয়ের দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করল। সোমবার শিলিগুড়ির এসিজেএম আদালতে ধৃতদের তোলা হয়। আদালত সূত্রে খবর, ধৃতদের ট্রানজিট রিমান্ডে সিকিম নিয়ে যাওয়ার আবেদন জানান সেই রাজ্যের পুলিস। আদালত তা মঞ্জুরও করেছে। ৪ আগস্ট ধৃতদের সেখানকার আদালতে তোলা হবে। সিকিম পুলিস জানিয়েছে, ধৃতরা কোথা থেকে মাদক সংগ্রহ করত, তাদের সঙ্গে আর কারা জড়িত এসব প্রশ্নের উত্তর জানার চেষ্টা চলছে। কাজেই ওই ঘটনা নিয়ে এখন আর কিছু বলা সম্ভব নয়। উল্লেখ্য, শিলিগুড়িতে মাদক কারবারের রমরমা অনেকদিনের। এর আগেই এখানে বেশকিছু ওষুধের দোকান থেকে নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ, বিভিন্ন ট্যাবলেট পুলিস বাজেয়াপ্ত করেছে। জুলাই মাসে মাটিগাড়া, বাগডোগরার দু’টি ওষুধের দোকান থেকে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ ওষুধ বাজেয়াপ্ত করা হয়। যারমধ্যে একটি ওষুধের দোকানের কাছে ড্রাগ লাইসেন্সই ছিল না। ঘটনাগুলি পর্যালোচনা করে গোয়েন্দারা চাঞ্চল্যকর কিছু রিপোর্ট পেয়েছে।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, মণিপুর সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে কাশির সিরাপ, ঘুমের ট্যাবলেট সহ নিষিদ্ধ ওষুধ এখানে আনা হচ্ছে। ওষুধের দোকানের আড়ালে তা পাচার করা হচ্ছে দার্জিলিং ও কালিম্পং পাহাড় সহ সিকিমে। স্থানীয় এলাকাতেও সেসব ওষুধ বিক্রি করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ওষুধগুলি একধরনের মাদক। সেগুলি সেবন করে যুবক-যুবতীদের একাংশ বিপথগামী হচ্ছেন। নিষিদ্ধ এই ওষুধ বাংলাদেশেও পাচার করা হচ্ছে।
শিলিগুড়ি পুলিস কমিশনারেটের এসিপি(পশ্চিম) চন্দন দাস অবশ্য বলেন, পুলিস কমিশনারের নির্দেশে মাদক কারবারের বিরুদ্ধে সতর্ক রয়েছে। এই শহর থেকে এই কারবার নির্মূল করা হবেই।