বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সমগ্র শিক্ষা মিশনের কর্মসূচিগুলির মধ্যে অন্যতম চাইল্ড রেজিস্টার করা। স্কুলছুট ছাত্রছাত্রীদের চিহ্নিত করতে প্রতিবছরই এই কর্মসূচি রূপায়িত করা হয়। কিন্তু, কোভিড মহামারীর জেরে ২০২০ সালে এই কর্মসূচি করতে পারেনি সমগ্র শিক্ষা মিশন। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য সরকারের কাছে বর্তমানে ড্রপআউটের প্রকৃত সংখ্যা নেই। মহামারীর জেরে অনেকেই মাঝপথে পড়াশুনা ছেড়ে দিয়ে বিভিন্ন পেশায় নাম লিখিয়েছে বলে অভিযোগ। অনেকে আবার বাবা-মা’র সঙ্গে ভিনরাজ্যে পাড়ি দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই অবস্থায় এবার ফের চাইল্ড রেজিস্টার তৈরির কাজে হাত দিয়েছে সমগ্র শিক্ষা মিশন।
প্রশাসন সূত্রের খবর, রাজ্য সমগ্র শিক্ষা মিশনের নির্দেশে গত ৩০ জুন জেলায় জেলায় এই সমীক্ষা শুরু হয়েছে। এই সমীক্ষার পার্শ্বশিক্ষক, শিক্ষাবন্ধু, স্পেশাল এডুকেটারদের নিযুক্ত করা হয়েছে। তাঁরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ২৩টি প্রশ্নের উত্তর নথিভুক্ত করছেন। যেমন— ০ থেকে ১৮ বছর বয়সি শিশুর নাম, কোন ক্লাসের ছাত্র, স্কুলের নাম, স্কুলে না গেলে কবে থেকে স্কুলে যাচ্ছে না, স্কুলে না যাওয়ার কারণ, অভিভাবকের নাম ও ঠিকানা, ফোন নম্বর প্রভৃতি। প্রশাসনের আধিকারিকাররা বলেন, এই সমীক্ষা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। এই সমীক্ষায় স্কুলছুট ছাত্রছাত্রীর প্রকৃত তথ্য উঠে আসবে। পাশাপাশি কোভিড মহামারীর জেরে কোনও ছাত্রছাত্রী অভিভাবক হারিয়ে অনাথ হয়েছে কি না, কেউ অন্য রাজ্যে পাড়ি দিয়েছে কি না সেসব তথ্য জানা যাবে।
রাজ্যের অন্যান্য জেলার মতো শিলিগুড়ি শিক্ষা জেলাতেও বুথ ভিত্তিক এই সমীক্ষা চলছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, ২০১৯ সালে এই জেলায় ড্রপআউট ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ছিল ৫৯৬। সেবারই স্কুলের আঙিনায় ফেরানো হয় ২৩২ জনকে। তখন সেই সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৩৬৪ জন। তবে কোভিডের জেরে সেই সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে বলে আশঙ্কা। এ জন্য রাজ্য সমগ্র শিক্ষা মিশনের নির্দেশে চাইল্ড রেজিস্টার প্রস্তুত করতে পাশ্বশিক্ষক, শিক্ষাবন্ধু সহ ৫০০ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়ে মাঠে নামানো হয়েছে। তাঁরা জেলায় সাতটি চক্রের অধীনে ৮০০টি বুথের প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে রিপোর্ট প্রস্তুত করবেন।
আগামী ১৫ আগস্টের মধ্যে সমীক্ষা শেষ করে তাঁদের রিপোর্ট দাখিল করতে বলা হয়েছে। তবে কোভিডের জেরে সমীক্ষা করতে গিয়ে অনেক জায়গায় তাঁরা বাধার মুখে পড়ছেন বলে অভিযোগ।
সমগ্র শিক্ষা মিশনের শিলিগুড়ির প্রকল্প আধিকারিক অমর বিশ্বাস বলেন, রাজ্য সরকারের নির্দেশে এই সমীক্ষা শুরু হয়েছে। শীঘ্রই সমীক্ষার রিপোর্ট রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হবে।