গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
হাসপাতালের সুপার সুরজ সিনহা বলেন, সোমবার বিকেল থেকে জলের সমস্যা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিভাগকে জানানো হয়। জলের আয়রন কিংবা অন্য কিছু জমে হয়তো পাইপ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সকালেই মেরামতির কাজ শুরু হয়। সন্ধ্যার মধ্যেই পাইপ বদলে দিয়ে সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। এখন জলের সমস্যা নেই। ইসলামপুর পুরসভার প্রশাসক তথা হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির প্রাক্তন চেয়ারম্যান কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, জলের সমস্যার কথা জানতে পেরেই সুপারকে ফোন করেছিলাম। তাঁকে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে বলেছি।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে প্রসূতি ও শিশু বিভাগ চালু আছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন পরীক্ষার জন্য ল্যাব রয়েছে। ইসলামপুর মহকুমার চোপড়া, ইসলামপুর, গোয়ালপোখর, চাকুলিয়া ও করণদিঘি থেকে অনেক প্রসূতি এখানে ভর্তি হন। সদ্যোজাতদের কোনও সমস্যা হলেও এখানে ভর্তি নেওয়া হয়। চিকিৎসা করতে আসা রোগীরা বলছেন, চার-পাঁচ দিন ধরেই এখানে জল পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে জল কিনে খেতে হচ্ছে। এজন্য চার তলা থেকে নীচে নেমে জল কিনতে হচ্ছে।
স্থানীয়রা বলছেন, মহকুমার বিভিন্ন এলাকা থেকে রোগীরা এখানে আসেন। সেই সঙ্গে প্রতিবেশী বিহারেরও অনেক রোগী এখানে আসেন। আর্থিক দিক থেকে সঙ্গতি আছে, এমন পরিবারের মহিলারা বেসরকারি নাসিংহোমে চিকিৎসা করান। কিন্তু দরিদ্র মানুষের কাছে সরকারি হাসপাতালই একমাত্র ভরসা। রাজ্য সরকার বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দিচ্ছে।
কিন্তু সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ১৫ টাকা করে এক একটি জলের বোতল কিনে খেতে হচ্ছে। দিন রাতে প্রায় চার-পাঁচ বোতল জল লাগে। অনেকেই জলের বোতল কিনতে পারছেন না। তাঁদের পরিজনরা বাইরের কোনও চায়ের দোকান থেকে বা অগভীর টিউবওয়ের জল রোগীর জন্য সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছেন। রোগীর পরিজনরা জানিয়েছেন, পানীয় জলের সমস্যা তো আছেই। সেই সঙ্গে শৌচাগারেও জল মিলছে না। আবর্জনাও নিয়মিত পরিষ্কার করা হচ্ছে না।