গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
উল্লেখ্য, প্রশাসনিক নজরদারির অভাবে শহরের সিংহভাগ রাস্তার দু’পাশে কিছু কিছু জায়গায় বেআইনি নির্মাণ হয়েছে। ওইসব নির্মাণের সঙ্গে যুক্তরা সরকারি জায়গা দখল করে রেখেছেন। কেউ কেউ রাস্তার উপর বাড়িতে ঝুলন্ত বারান্দা তৈরি করেছেন। রাস্তার দু’পাশে ফুটপাতের একাংশও দখল হয়ে গিয়েছে। নিকাশি নালার উপর কংক্রিটের স্ল্যাব তৈরি করা হয়েছে। তারপর দোকান বসানো হয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষের সমস্যা হচ্ছে। অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে ইংলিশবাজার শহর এমনিতেই ঘিঞ্জি। শহরের রাস্তাঘাট সংকীর্ণ। অথচ অন্যান্য শহরের তুলনায় লোকসংখ্যা বেশি। ফলে বিপুল জনসংখ্যার ভার সামলানোর পরিস্থিতি শহরের সিংহভাগ রাস্তার নেই। সে কারণে অফিস টাইমে শহরের বেশিরভাগ রাস্তায় যানজট লেগে থাকে। বাইক সহ অন্যান্য গাড়ির চালকদের পক্ষে সময়ে গন্তব্যে পৌঁছনো সম্ভব হয় না।
বিষয়টি লক্ষ্য করে গত দু’বছরে জেলা প্রশাসন বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করে। বেআইনি টোটো চলাচলের উপর জেলা পরিবহণ দপ্তর রাশ টেনেছে। তবে জবরদখল উচ্ছেদে কোনও ব্যবস্থা সেভাবে নেওয়া হয়নি। অভিযোগ, জনপ্রতিনিধিদের একাংশ জবরদখলকারীদের থেকে ‘হপ্তা’ আদায় করেন। জনপ্রতিনিধিদের গাড়ির চালক, নিরাপত্তারক্ষীরা অস্থায়ী দোকানদারদের কাছ থেকে তোলা আদায় করে নিয়ে আসে। খাবারের দোকানগুলো থেকে সবচেয়ে বেশি টাকা আদায় করা হয়। ঠেলাওয়ালাদের কাছ থেকে দৈনিক টাকা আদায় করা হয় বলে অভিযোগ। জনপ্রতিনিধিদের চাপে পুলিস ও প্রশাসনের আধিকারিকদের একাংশ এতদিন ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। যদিও আধিকারিকরা ওই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।
এদিন সকাল ১১টা নাগাদ ইংলিশবাজার পুরসভার ১৫-২০ জন কর্মী-আধিকারিক শহরে নামেন। তাঁরা পুরভবন থেকে নেতাজি সুভাষ রোড হয়ে পোস্টঅফিস মোড় পর্যন্ত যান। সেখান থেকে রবীন্দ্র অ্যাভেনিউ ধরে তাঁরা শহর পরিক্রমা করেন। রাস্তার দু’পাশে সরকারি জায়গায় বসে থাকা ব্যবসায়ী ও ফেরিওয়ালাদের তাঁরা সাবধান করে দেন। নিকাশি নালা, ফুটপাত এবং রাস্তার জায়গা ছেড়ে রেখে পসরা সাজানোর জন্য তাঁরা ব্যবসায়ীদের বলেন। ব্যবসায়ীরা না সরলে যে পুরসভা কড়া পদক্ষেপ নেবে তা এদিন আধিকারিকরা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। পুরসভার এক আধিকারিক বলেন, নাগরিক পরিষেবা আমাদের কাছে সবার আগে। সেই লক্ষ্যে পুরসভা কাজ করে। ফলে মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের জন্য বৃহত্তর অংশের অসুবিধার বিষয়টি মেনে নেওয়া হবে না। এর আগেও ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু নতুন করে অন্যান্যরা ফের শহরের রাস্তা ও ফুটপাতে পসরা সাজিয়ে বসেছেন। নিজের থেকে তাঁরা সরে না গেলে দু-একদিনের মধ্যে জবরদখল হঠিয়ে দেওয়া হবে। পুনর্বাসনের বিষয়টি নিয়ে এখনও আমাদের মধ্যে কোনও আলোচনা হয়নি।