পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার অ্যাসিস্ট্যান্ট আর্কিওলজিস্ট চুনচুন কুমার বলেন, পর্যটকদের জন্য রাজবাড়ি খোলার নোটিস ১৫ জুন এসেছিল। কিন্তু, রাজ্যে কোভিড সংক্রান্ত বিধিনিষেধ থাকায় এখনও রাজবাড়ি পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়নি। যদি এখানে ৩০ জুলাই বিধিনিষেধ উঠে যায় তাহলে ৩১ তারিখ থেকেই রাজবাড়ির গেট পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুকান্ত বিশ্বাস বলেন, রাজবাড়ি পর্যটকদের জন্য খোলা হলে কোভিডের সমস্তরকম বিধি মেনেই প্রবেশের ছাড়পত্র দিতে হবে।
কোচবিহারের দর্শনীয় স্থানগুলির মধ্যে রাজবাড়ি অন্যতম। সাধারণ সময়ে দেশ-বিদেশের বহু পর্যটক এখানে বেড়াতে আসতেন। স্থানীয়রাও প্রতিদিন রাজবাড়ি মাঠে ঘুরতে আসতেন। রাজবাড়ি সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনার প্রথম ঢেউ আসার আগে পর্যন্ত প্রতিদিন দেড়-দু’হাজার পর্যটক আসতেন। কিন্তু, করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পর রাজবাড়িতে পর্যটকদের প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তা খোলা হয়। সেসময় প্রথমদিকে পর্যটকের সংখ্যা কিছুটা কম হলেও ধীরে ধীরে আবার পর্যটকের সংখ্যা বাড়তে থাকে। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া সূত্রে জানা গিয়েছে, তখন পর্যটক আসার সংখ্যা বাড়তে বাড়তে ৮০০-১০০০ হচ্ছিল। কিন্তু, সেই সময়েই আবার করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলে আসে। ফলে আবারও রাজবাড়ির গেট পর্যটকদের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে রাজবাড়ি পর্যটকদের জন্য বন্ধ থাকলেও রাজপ্রাসাদ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ যথারীতি চলছে। মিউজিয়ামগুলিতে যাতে ধুলোবালির আস্তরণ না পড়ে সেদিকেও নিয়মিত নজর রাখা হচ্ছে। নিয়মিত বাগান পরিচর্যা হচ্ছে। এবার বিধিনিষেধ উঠলে রাজবাড়িতে ফের পূর্বের মতো পর্যটকদের আনাগোনা বাড়বে।