পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, ধৃত পাঁচজন হল সোমেন বাগ, উজ্জ্বল সরকার, অসীম সরকার, স্বপন সরকার ও সঞ্জয় ওঁরাও। ধৃতদের মধ্যে সোমেন ও উজ্জ্বলের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামে। অসীম সরকার ও স্বপন সরকারের বাড়ি আলিপুরদুয়ার রেল জংশনে। সঞ্জয়ের বাড়ি কালচিনির নিমতিঝোরায়। মধ্যমগ্রামের ওই দুই বাসিন্দা শিলিগুড়িতে ডেরা বেঁধে স্থানীয় যুবকদের হাত করে এই অবৈধ ব্যবসা চালাচ্ছিল বলে পুলিস জানতে পারে।
পুলিস সুপার ভোলানাথ পাণ্ডে বলেন, ভুয়ো আধারকার্ড তৈরি চক্রের পাঁচ দুষ্কৃতী গ্রেপ্তার হয়েছে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে আধারকার্ড তৈরির সরঞ্জাম। তারা এখনও পর্যন্ত এমন আধারকার্ড কতজনকে দিয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ধৃতদের জেরা করে পুলিস জানতে পেরেছে, ধৃতদের মধ্যে মধ্যমগ্রামের দুই বাসিন্দাই এই ভুয়ো আধারকার্ড তৈরির চক্রের মূল পাণ্ডা। সেজন্য পুলিস মঙ্গলবার ধৃতদের আলিপুরদুয়ার এসিজেএম আদালতে তুলে মধ্যমগ্রামের দুই বাসিন্দাকে রিমান্ডে নেওয়ার জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানায়। কালচিনি থানার ওসি অনির্বাণ মজুমদার বলেন, আদালত মধ্যমগ্রামের দুই বাসিন্দাকে সাতদিনের পুলিস হেফাজত দিয়েছে। আমরা ওদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি। আদালত বাকিদের জেল হেফাজত দিয়েছে।
গোপন সূত্রে নিমতিঝোরা চা বাগানে ভুয়ো আধারকার্ড তৈরি চক্রের কথা সোমবার বিকেলেই জানতে পায় পুলিস। খবর পেয়ে ওসি অনির্বাণবাবুর নেতৃত্বে কালচিনি থানার পুলিস রাতে সাদা পোশাকে ওই চা বাগানে জাল বিস্তার করে। তারপরই গ্রেপ্তার হয় পাঁচ দুষ্কৃতী। উদ্ধার হয় দুষ্কৃতীদের আধারকার্ড তৈরির সরঞ্জাম। উদ্ধার হয় প্রচুর ভুয়ো আধারকার্ড।
কিন্তু, পুলিসকে ভাবাচ্ছে গরিব আদিবাসী চা শ্রমিকদের সরলতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এখনও পর্যন্ত দুষ্কৃতীরা কতজনকে এরকম ভুয়ো আধারকার্ড বানিয়ে দিয়েছে। তদন্তে পুলিস এখন সেটাই জানার চেষ্টা করছে। সেজন্য আধারকার্ড তৈরির গোটা ব্লুপ্রিন্ট খুঁজে বের করতে বিশেষজ্ঞদের দিয়ে ধৃতদের ল্যাপটপ খুঁটিয়ে পরীক্ষা করার কাজ শুরু করেছে পুলিস।