কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিন দুপুরে কোতোয়ালি থানার আইসি অমিতাভ দাসের নেতৃত্বে ধৃত ওই ব্যক্তিকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেদিন দুষ্কৃতীরা গাড়িতে চেপে পার্থবাবুর বাড়ির কাছেই নেমেছিল। সেদিন তারা যেখানে নেমেছিল, কালো কাপড় দিয়ে মুখ ঢাকা অবস্থায় ধৃতকে এদিন সেখানে নিয়ে যায় পুলিস। তাকে দিয়ে পুলিস পার্থবাবুর বাড়ির সামনের রাস্তায় গোটা ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে। রাস্তায় ও পার্থবাবুর বাড়ির গেটের সামনে দাঁড়িয়ে ধৃত পুলিসকে বিভিন্ন জায়গা দেখিয়ে অপারেশনের কিছু কথা জানায়।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই কেএলওর এক নেতার স্বাক্ষর করা একটি চিঠি ভাইরাল হয়। সেই চিঠিতে কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় ও প্রাক্তন বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মনকে ‘চরম শাস্তি’র হুমকি দেওয়া হয়। তারপরেই এমন ঘটনায় পুলিস গোটা বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।
জিরানপুরের বাড়িতে পার্থবাবুর বাবা ও মা থাকেন। পার্থবাবু থাকেন কোচবিহার শহরে। গাড়িতে চেপে এসে ওই গ্রামের বাড়িতে দুষ্কৃতীরা গুলি চালিয়ে গাড়ি নিয়েই পালিয়ে গিয়েছিল। সেদিনের ওই ঘটনার পর জিরানপুরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিস ঘটনার তড়িঘড়ি তদন্তে নেমে যে গাড়িটি দুষ্কৃতীরা ব্যবহার করেছিল, সেই ছোট গাড়িটিও বাজেয়াপ্ত করেছে।
কোচবিহারের ডিএসপি (সদর) অরিজিৎ পালচৌধুরী বলেন, পার্থপ্রতিম রায়ের গ্রামের বাড়িতে গুলি চালনার ঘটনায় দু’জনকে আমরা আগেই গ্রেপ্তার করেছি। তাদেরই একজনকে নিয়ে এদিন ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয়। ঘটনার দিন কীভাবে, কী হয়েছিল সেটা বোঝার জন্যই এটা করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। আরও কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে। তাদের ধরতে বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি করা হচ্ছে।
পার্থবাবু বলেন, এদিন দুপুরে আমার বাবা আমাকে ফোন করে জানিয়েছে, আমাদের গ্রামের বাড়ির সামনে পুলিস এসেছিল। পুলিস তাদের মতো তদন্ত করছে। ওই ঘটনার পিছনে কারা রয়েছে, পুলিস তা খতিয়ে দেখছে। আশা করছি, পুলিস দ্রুততার সঙ্গে গোটা বিষয়টি উদ্ঘাটন করবে। ওই ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের সকলকে দ্রুত গ্রেপ্তার করতে পারবে। এদিন বেলা ১২টা নাগাদ এক ধৃতকে নিয়ে জিরানপুর গ্রামে পার্থবাবুর বাড়ির সামনে পৌঁছয় কোতোয়ালি থানার পুলিসের টিম। যে ধৃতকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তার পরনে ছিল টি-শার্ট, হাফপ্যান্ট, পায়ে ছিল চটি। সেখানে পৌঁছনোর পর পুলিস ধৃতের কাছ থেকে বুঝে নেওয়া চেষ্টা করে, দুষ্কৃতীরা কোনদিক দিয়ে এসেছিল, এখানে এসে ঠিক কোথায় দাঁড়িয়েছিল, কোন জায়গায় কতক্ষণ দাঁড়িয়েছিল, গাড়িটি কোথায় রাখা হয়েছিল। তবে তদন্তের স্বার্থে পুলিস এদিন যে ধৃতকে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়েছিল, তার নাম জানাতে চায়নি।
জিরানপুরে পার্থবাবুর গ্রামের বাড়ির সামনে রয়েছে পাকা রাস্তা। ঘটনার দিন সেই রাস্তা দিয়ে গাড়িটি যেখানে এসে দাঁড়িয়েছিল, সেই জায়গা থেকে কালো কাপড়ে মুখ ঢাকা ওই অভিযুক্তকে নিয়ে পুলিস হেঁটে পার্থবাবুর বাড়ির গেটের দিকে আসে। রাস্তার বেশ কয়েক জায়গায় ওই ব্যক্তিকে হাত নেড়ে পুলিসকে বেশকিছু বিষয় সম্পর্কে বুঝিয়ে দিতে দেখা যায়। পুলিস আধিকারিকরাও ধৃতের বিবরণ শোনার পাশাপাশি তাকে ভালোভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুরো ঘটনাটি সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারণা তৈরি করার চেষ্টা করেন। পুনর্নির্মাণের পুরো ঘটনা পুলিসের পক্ষ থেকে ভিডিওগ্রাফি করা হয়।