পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বাসিন্দারা বলেন, স্থানীয় মারনাই গ্রাম পঞ্চায়েত সহ পার্শ্ববর্তী কাপাসিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের নদী পারাপারের জন্য একমাত্র ভরসা নৌকা। নদীর দু’পাশে প্রাথমিক বিদ্যালয়, স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে শুরু করে হাই মাদ্রাসা থাকার কারণে নিত্যদিন কয়েক হাজার মানুষকে নদী পারাপার করতে হয়। প্রতিবছর গ্রীষ্মকালে দুর্বল বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করা সম্ভব হলেও বর্ষাকালে নদীর জল বেড়ে যাওয়ায় একমাত্র নৌকা করে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতে হয়। স্বাধীনতার পর সাত দশকেরও বেশি সময় কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত এখানে একটি পাকা সেতু নির্মাণ করতে পারেনি প্রশাসন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা প্রতিবার ভোটের সময় প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দিলেও ভোট ফুরিয়ে গেলে তাঁদের আর দেখা পাওয়া যায় না। তাই এলাকাবাসী নিজেদের স্বার্থে নিজেরাই সেতু নির্মাণের জন্য নদী পারাপার হতে আসা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে রসিদ ছাপিয়ে টাকা তুলছেন। তাঁদের বক্তব্য, পাকা সেতু নির্মাণ করতে না পারলেও নিজেরাই টাকা তুলে কাঠের তৈরি মজবুত সেতু তৈরি করব। সে জন্যই এই টাকা তোলা হচ্ছে। যদিও এ বিষয়টি সম্পর্কে কিছু জানেন না বলে মন্তব্য করেছেন ইটাহারের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মোশারফ হোসেন। বিধায়ক বলেন, বিগত দিনে তৃণমূল কংগ্রেসের আমলে বেশ কয়েকটি সেতু নির্মাণ হয়েছে ইটাহার ব্লকের বিভিন্ন প্রান্তে। আগামী দিনে আরও বেশকিছু এলাকায় সেতু নির্মাণ করা হবে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবিদাওয়া মেনে। এ নিয়ে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ইতিমধ্যে কথা বলেছি। কিন্তু, রাজ্য সরকার আর্থিকভাবে কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্য সরকারকে আর্থিক দিক থেকে বঞ্চিত করে আসছে। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আমাদের সরকারের এখন পাওনা ৫৬ হাজার কোটি টাকা। যা তারা আটকে রেখেছে। সেটা পেলে রাজ্যের সাধারণ মানুষের উপকার হবে। উন্নয়নের কাজ অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। তবুও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করে চলেছেন। আগামী দিনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে কচুয়া গ্রামে সুই নদীর উপর সেতু নির্মাণ করার ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, শুকনো মরশুমে সুই নদীতে তেমন জল থাকে না। সেসময় বাঁশের সাঁকো দিয়ে সহজেই পারাপার করা যায়। কিন্তু বর্ষাকালে এই নদী ফুলেফেঁপে উঠে। এই সময় পারাপারের জন্য নৌকাই বাসিন্দাদের একমাত্র ভরসা।