গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
উল্লেখ্য, রাজ্যে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে পথ দুর্ঘটনা নিয়ে পুলিস বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। দুর্ঘটনা রোধে পুলিস ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্ক প্রসূত ওই প্রকল্প রাজ্য জুড়ে সাড়া ফেলে। মালদহ জেলা পুলিসও প্রকল্প রূপায়ণে সাফল্য পায়। মাঝে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী একবার জেলা সফরে এসে পুলিসকে এব্যাপারে আরও সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দেন। তারপর পুলিস বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করে। নতুন নতুন এলাকায় রাস্তার মাঝে ডিভাইডার ও পাশে দুর্ঘটনা প্রতিরোধক নান ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সহ ইংলিশবাজার এবং পুরাতন মালদহ শহরের একাধিক মোড়ে ট্রাফিক সিগন্যাল বসানো হয়। গাজোলের মতো জনবহুল এলাকাতেও ট্রাফিক পুলিস বেশকিছু পদক্ষেপ নেয়। তবে ব্যবস্থা গ্রহণের পরেও জেলায় মাঝেমধ্যেই পথ দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়। বাইক ও ছোট গাড়ির চালকরাই বেশি দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। রাতে দ্রুতগতিতে বাইক চালানোর জন্য অনেকে দুর্ঘটনার শিকার হন। দ্রুত গতির বাইক চালকদের বিরুদ্ধে এর আগে ট্রাফিক পুলিস বেশকিছু ব্যবস্থা নিয়েছিল। এবার হেলমেট বিহীন বাইক আরোহীদের বিরুদ্ধে পুলিস আরও কড়া পদক্ষেপ করতে অভিযান শুরু করছে। ট্রাফিস পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, রাজ্য সরকার দুর্ঘটনা রোধে ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ কর্মসূচি চালু করেছিল। মাঝে ওই প্রকল্পের গতি কিছুটা শ্লথ হয়। তারজন্য জেলা সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী আমাদের ধমক দিয়েছিলেন। তারপর আমরা জোরকদমে ময়দানে নামি। বর্তমানে জেলায় দুর্ঘটনা অনেকটাই কমানো গিয়েছে। তবে তা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি বাইক আরোহীরা হতাহত হন। মাথায় হেলমেট থাকলে মৃত্যুর আশঙ্কা অনেকাংশে কমে যায়। সেই কারণে আইনে হেলমেটহীন অবস্থায় বাইকে ওঠা নিষিদ্ধ। বিষয়টি নিয়ে আমরা এর আগে সচেতনতামূলক প্রচার চালিয়েছি। এরপর থেকে আইন মোতাবেক কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইংলিশবাজার শহরের বিভিন্ন জায়গায় ‘সারপ্রাইজ চেকিং’ হবে। ফলে বিনা হেলমেটের বাইক চালকরা জরিমানা এড়াতে পারবেন না। রথবাড়ি মোড়ে স্থায়ী চেকপোষ্ট থাকবে। সেখানে কার্যত ২৪ ঘন্টা চেকিং হবে।