কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মুম্বইয়ের লোকমান্য তিলক পুলিস স্টেশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিস ইনসপেক্টর সুদর্শন প্যাটেলের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি দল দুই প্রতারককে ধরতে শিলিগুড়িতে আসেন। সুদর্শন প্যাটেল এদিন জানান, মুম্বইয়ে কয়েকজন মিলে একটি অর্থলগ্নি সংস্থার নাম করে মোটা অঙ্কের সুদের প্রলোভন দিয়ে মুম্বইয়ের এক ব্যক্তির কাছ থেকে দু’কোটি টাকা নেয়। মোটা সুদের কথা বলে ব্যবসায়ীদের ওই ভুয়ো কোম্পানিতে বিনিয়োগ করার কথা বলা হতো। এই দলে ধৃত অশ্বিন পটেল, রাম কুমারের সঙ্গে আরও কয়েকজন রয়েছে। রাজ গোপাল সোমানি নামে মুম্বইয়ের রিয়াল এস্টেট ব্যবসায়ী ওদের কথায় বিশ্বাস করে দু’কোটি টাকা বিনিয়োগ করেন। মউ স্বাক্ষর করা ও টাকা জমা করার রসিদ নেওয়ার জন্য মুম্বইয়ের একটি হোটেলে গিয়ে ওই ব্যবসায়ীকে অপেক্ষা করতে বলা হয়েছিল। সেই মতো তিনি সংশ্লিষ্ট হোটেলে গিয়ে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অপেক্ষা করেও কারও দেখা পাননি। তারপর যোগাযোগ করার চেষ্টা করে দেখেন, সবার ফোন স্যুইচঅফ। তখন তিনি খোঁজ নিয়ে দেখেন, ওই সংস্থাটি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। প্রতারিত ব্যবসায়ী ১৯ জুলাই লোকমান্য তিলক পুলিস স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে মুম্বই পুলিস কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে মুম্বই পুলিস। সুদর্শন প্যাটেল বলেন, ফোন নম্বর ট্র্যাক করে আমরা জানতে পারি, অশ্বিন প্যাটেল ও রাম কুমার কিছুদিন সুরাত ও রাজস্থানে পালিয়ে থাকার পর কলকাতায় চলে যায়। কিছুদিন সেখানে থাকার পর দু’জনে শিলিগুড়িতে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। সেই মতো আমরা শিলিগুড়িতে এসে এখানকার পুলিসের সাহায্য নিয়ে ওই দু’জনকে গ্রেপ্তার করি। এদিনই ধৃতদের শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হয়। ধৃতদের ট্রানজিট রিমান্ডে মুম্বই নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
এদিকে, ধৃত ব্যক্তিরা শিলিগুড়ির হোটেলে গা ঢাকা দিয়ে থাকার ক্ষেত্রে স্থানীয় কেউ সহযোগিতা করেছিল কি না, সেই দিকটিও পুলিস খতিয়ে দেখছে। মুম্বই থেকে এসে গা ঢাকা দিয়ে থাকা দুই প্রতারকের গ্রেপ্তারের খবরে শিলিগুড়িতে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। কারণ, ২৪ ঘণ্টা আগে শহরে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে শিলিগুড়ি থানার পুলিস তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছিল।
কিছুদিন আগে ভিন রাজ্যের কয়েকজনের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ জমা পড়েছিল প্যানিট্যাঙ্কি পুলিস ফাঁড়িতে। পেন্সিল তৈরির মেশিন ও কাঁচামাল বিক্রি করে উৎপাদিত পেন্সিল কিনে নেবে বলেছিল একদল প্রতারক। পরে পেন্সিল নিয়ে টাকা না দিয়ে শিলিগুড়ি থেকে অফিস তুলে উধাও হয়ে যায় তারা। তারপর এদিনের ঘটনায় স্থানীয় মানুষের একাংশের ধারণা, ভিন রাজ্যের প্রতারকরা সবদিক দিয়েই শিলিগুড়িকে নিরাপদ মনে করছে। তাই এখানে এসে ঘাঁটি গাড়ছে। নিজস্ব চিত্র