কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ভিস্তাডোম কোচের পরিষেবা চালুর আগে রেল এখন এ অঞ্চলের পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে। এটিকে স্পেশাল ট্রেন হিসেবে চালানো হবে, নাকি অন্য কোনও ট্রেনের সঙ্গে জুড়ে দিয়ে চালানো হবে, সেই বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। ভাড়া ও ট্রেন ছাড়ার সময়ও নির্ধারণ হয়নি। আগামী দু-এক সপ্তাহের মধ্যেই এসব নির্ধারিত হয়ে যাবে বলে আশা করছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল। শুধু ডুয়ার্সেই নয়, একইরকম পরিষেবা অসমেও চালু হওয়ার কথা। অসমের লামডিং থেকে বদরপুর পর্যন্ত পার্বত্য এলাকাতেও এই ভিস্তাডোম পরিষেবা চালু করা হবে। ওই রুটে হাফলং, ঝাটিংগা হিলস প্রভৃতি জায়গা পর্যটকরা দেখতে পারবেন।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শুভানন চন্দ বলেন, আশা করছি পুজোর আগেই শিলিগুড়ি জংশন অথবা এনজেপি থেকে সেভক হয়ে আলিপুরদুয়ার পর্যন্ত ভিস্তাডোম কোচে পরিষেবা চালু করতে পারব। একইরকম পরিষেবা লামডিং হয়ে বদরপুরের মধ্যেও চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। ডুয়ার্সে ভিস্তাডোম পরিষেবায় ভাড়া কত হবে, ক’টায় ট্রেন ছাড়বে তা শীঘ্রই চূড়ান্ত করা হবে।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ভিস্তাডোম কোচে বেশকিছু বিশেষত্ব থাকে। বাইরের দৃশ্য সহজেই যাতে দেখা যায়, তার জন্য এই কোচের জানালা অনেক বড় হয়। কোচের ছাদটিও স্বচ্ছ থাকে। যাতে পর্যটকরা আশপাশের সবকিছুই পরিষ্কার দেখতে পান। ভিস্তাডোম কোচের ভিতরে যাত্রীদের যে আসন থাকে, সেগুলি ১৮০ ডিগ্রি ঘোরে। ফলে যাত্রীরা ইচ্ছেমতো যেকোনও দিকে ঘুরতে পারেন। প্যান্ট্রিকার থাকবে। এছাড়াও বিমানের মতো এখানে কনটেন্ট অন ডিমান্ড থাকবে। অর্থাৎ ল্যাপটপ বা মোবাইলে যদি কেউ কোনও সিনেমা দেখতে চান, তার ব্যবস্থাও রাখা হবে। কোচে ইন্টারনেট পরিষেবা মিলবে। কোচের পিছনের অংশে গ্যালারি থাকবে।
ভিস্তাডোম কোচটি কোন রুটে চালালে ভালো হবে, কোন কোন স্টেশনে দাঁড়ালে পর্যটকদের সুবিধা হবে প্রভৃতি বিষয় নিয়ে গত সপ্তাহে রেলের সঙ্গে পর্যটন ব্যবসায়ীদের বৈঠক হয়েছে। দেশ-বিদেশের বহু পর্যটক সারা বছরই এনজেপি স্টেশনে নামেন। এখানে নামার পর তাঁরা ছোট গাড়িতে পাহাড় ও ডুয়ার্সে বেড়াতে যান। যেসমস্ত পর্যটক ডুয়ার্সে বেড়াতে যেতে চান, তাঁরা এই ট্রেনে চেপে ডুয়ার্সের নির্দিষ্ট জায়গায় চলে যেতে পারবেন। দুই-তিনদিন ডুয়ার্স ঘুরে আবার তাঁরা ওই ট্রেনে চেপে এনজেপি ফিরে আসতে পারবেন। এনজেপি, শিলিগুড়ি জংশন ছুঁয়ে সেভক হয়ে ডুয়ার্সে যাওয়ার এই পথ অত্যন্ত মনোরম। জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে নদী, ঝোরা পেরিয়ে ট্রেন চলাচল করে। গুলমা, সেভকের জঙ্গলে লাইনের দু’ধারে প্রচুর ময়ূর, পাখি দেখা যায়। এছাড়াও ডুয়ার্স পর্যন্ত এই রুটে লাইনে পাশে প্রায়ই হরিণ, হাতির দল দেখা যায়। তাই এই রুটে ভিস্তাডোম কোচে চেপে পর্যটকরা গেলে অনেক বেশি আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন।