পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
হিলি সীমান্ত উন্নয়ন মঞ্চের অন্যতম সদস্য বীরেন্দ্র নাথ মাহাত বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে সংঘাতের কারণে হিলিবাসী রেল পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এই রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। ঘোষিত প্রকল্পের কাজ কেন বন্ধ থাকবে তা নিয়ে আমরা হতবাক। আমরা এনিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছি। দ্রুত রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ চালু না করা হলে আগামীতে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব। হিলি এক্সপোর্ট অ্যান্ড কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক ধীরাজ অধিকারী বলেন, এই রেলপথ সম্প্রসারণ কাজ চালু হওয়ার পরে রেল চালু হলে আমাদের এক্সপোর্টের আমূল পরিবর্তন হবে। মালগাড়ি করে প্রচুর পরিমাণে পণ্য বাংলাদেশে রপ্তানি করা যাবে। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা কো-অর্ডিনেটর সুভাষ চাকি বলেন, কেন্দ্র আমাদের সঙ্গে বঞ্চনা করছে। যে কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষিত হিলি-বালুরঘাট রেলপথ সসম্প্রসারণের কাজ কেন্দ্র বন্ধ করে রেখেছে। খুবই তাড়াতাড়ি আমরা এনিয়ে আন্দোলন করব। বালুরঘাটের সাংসদ বিজেপির সুকান্ত মজুমদার বলেন, তৃণমূল সরকার চাইছে না রেল পরিষেরা চালু হোক। যেকারণে প্রকল্প জমিজটে আটকে রেখেছে। আমি নিজে লোকসভায় এনিয়ে সরব হয়েছি যাতে দ্রুত কাজ চালু হয়।
২০১০ সালে বালুরঘাট-হিলি রেল প্রকল্পের আনুমানিক প্রকল্প ব্যয় স্থির হয় ২৪২ কোটি টাকা যা বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৪৫০ কোটি টাকায়। প্রথম দফায় কাজ করা হয় বেশকিছু সেতুর। বালুরঘাটে খিদিরপুর আত্রেয়ী নদী, হিলিতে যমুনার মতো বড় নীতে সেতু ও কামারপাড়ার হাতিবান্দা ও মালঞ্চাতে ছোট সেতুর কাজ দীর্ঘ কয়েক বছর আগে সমাপ্ত হয়েছে। কাজ শেষ হলেও নতুন করে টাকা বরাদ্দ না করায় বাকি কাজ থমকে যায়। প্রকল্পের জন্য ফের ২৫০ কোটি টাকা হাতে নিয়ে নতুন করে রেল প্রকল্পের কাজ শুরু করতে প্রস্তুতি নেয় উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল। তবে অজানা কারণে হিলি-বালুরঘাট রেলপথের কাজ বন্ধ রয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফে দাবি করা হয় কেন্দ্র ক্ষতিপূরনের টাকা দেয়নি। অন্যদিকে কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয় রাজ্য সরকার জমিজট না মেটানোয় কাজ চালু করতে পারছে না রেল। এবারে নির্বাচনে বিষয়টি বড় ইস্যু ছিল। রাজনৈতিক দলগুলি এনিয়ে প্রচার করে। তবে ভোটপর্ব মিটতে নতুন করে রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক ভাবে সকলে সরব হতে শুরু করেছে।