গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
জেলার উপমুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক-২ ডাঃ তুলসী প্রামাণিক বলেন, ইতিমধ্যে ওই এলাকা থেকে জ্বরে আক্রান্ত ১০০ জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তা পরীক্ষার জন্য শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ডেঙ্গু মোকাবিলায় জ্বরে আক্রান্ত আরও বাসিন্দাদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
শিলিগুড়ি শহর থেকে ২০-২১ কিমি দূরে দুধিয়া। কার্শিয়াং ব্লকের সেন্টমেরিস-৩ গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে ওই এলাকা অবস্থিত। এখানে দিনমজুর, ছোট ব্যবসায়ী, অবসরপ্রাপ্ত সেনা জওয়ানরা বসবাস করেন। এখানকার বাসিন্দাদের একাংশ কর্মসূত্রে ভিন রাজ্যেও যান। ডেঙ্গুর হদিশ মেলার পর উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক-২’র নেতৃত্বে স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্মীরা এলাকায় ঘাঁটি গাড়েন। সেই টিমে ছিলেন কার্শিয়াংয়ের বিএমওএইচ ডাঃ হাসিবুর মল্লিক। ইতিমধ্যে তাঁরা ‘লাইট ট্রাপ’ বা ফাঁদ পেতে প্রচুর মশা সংগ্রহ করেছেন। পাশাপাশি মশার লার্ভা সংগ্রহ করে গবেষণা করা হয়। উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক-২ বলেন, গবেষণা রিপোর্ট অনুসারে, সেখানে বংশবিস্তার করেছে এডিস এলবোপিকটাস মশা। ঝোপঝাড়ে, গাছের পাতা, টায়ার বাড়ির ছাদের জমা জলে ওই মশার আঁতুরঘর মিলেছে। কাজেই সেখানে ডেঙ্গু ছড়ানোর পিছনে রয়েছে এডিস এলবোপিকটাস মশা।
এমন চাঞ্চল্যকার রিপোর্ট সামনে আসতেই মশার আঁতুরঘর ধ্বংস করতে ময়দানে নেমেছে ব্লক প্রশাসন ও স্বাস্থ্যদপ্তর। স্বাস্থ্যদপ্তরের আধিকারিকরা বলেন, ওই এলাকায় বেশকিছু দোতলা বাড়ি রয়েছে। যেগুলির ছাদে ওঠার কোনও সিঁড়ি নেই। সেসব বাড়ির ছাদে জমা বৃষ্টির জলেই রয়েছে মশার আঁতুরঘর। ইতিমধ্যে ওইসব বাড়ির মালিকদের ছাদের জল বাইরে বের করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এজন্য বেশ কয়েকজনের বাড়িতে নোটিস পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে ব্লক প্রশাসন। তাছাড়া স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রায় ২১০০ বাড়িতে গিয়ে বাসিন্দাদের সচেতন করেছেন। বিএমওএইচ বলেন, ইতিমধ্যে মশার আঁতুড়ঘর ধ্বংস করতে ভেক্টর কন্ট্রোল টিমের সদস্য ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে তাঁরা পাড়ায় পাড়ায় অভিযান চালাচ্ছেন। বাসিন্দাদের সচেতন করতে নেপালি ভাষায় ছাপা লিফলেট এলাকায় ছড়ানো হবে।
উল্লেখ্য, কোভিডের মধ্যে জেলায় ডেঙ্গুও বাড়ছে। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রের খবর, সাতমাসে জেলায় এ নিয়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ জন। শিলিগুড়ি শহর ও মাটিগাড়া সহ বিভিন্ন এলাকায় ডেঙ্গু রোগী মিলেছে।