কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল ডাঃ সুকুমার বসাক বলেন, আগামী ২ ও ৯ আগস্ট থেকে মেডিক্যাল কলেজে প্রথম ও দ্বিতীয়বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের অফলাইন ক্লাস চালু করা হবে। ছাত্রছাত্রীদের হস্টেলে ঢোকার ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন নেওয়া থাকতে হবে। কারও ভ্যাকসিন না নেওয়া থাকলে আরটিপিসিআর টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ দেখেই হস্টেলে থাকার ছাড়পত্র দেওয়া হবে। রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে কলেজ কাউন্সিলে মিটিং করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেটা পড়ুয়াদেরও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভিড় এড়ানোর জন্য ছাত্রছাত্রীদের ছোট ছোট ব্যাচে আসতে বলা হচ্ছে। এখানে আসার পর তাঁরা ভ্যাকসিন নিয়েছেন কি না, তার সার্টিফিকেট দেখা হবে। তা দেখেই তাঁদের হস্টেলে ঢোকার ছাড়পত্র দেওয়া হবে। প্র্যাকটিক্যাল, ডেমোস্ট্রেশন, ওয়ার্ড ডিউটি, ক্লিনিক্যাল ডিউটি প্রভৃতির জন্য পড়ুয়াদের নিয়ে ছোট ছোট ব্যাচ করা হবে। এছাড়াও কিছু ক্লাস আগের মতো অনলাইনের মাধ্যমে হবে বলে কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। মাসখানেক এভাবে চলার পর সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হবে। যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তাহলে পরবর্তীতে অফলাইনেই সব ক্লাস চালু হয়ে যাবে।
কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়াদের থিওরি ক্লাস কোভিড পরিস্থিতি শুরু হওয়ার আগে শহরের নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে হতো। পরবর্তীতে পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে মেডিক্যাল কলেজের বিশাল ভবনে শুধুমাত্র পড়াশুনা ও প্রশাসনিক কাজকর্ম শুরু হয়েছিল। কিন্তু, কোভিডের বাড়বাড়ন্তের জন্য পড়ুয়াদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তাঁরা অনলাইনের মাধ্যমে বাড়িতে থেকেই দীর্ঘদিন ধরে পড়াশুনা করছেন। এখন কোভিড পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তাই তাঁদের ফের হস্টেলে আসার জন্য জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোভিড বিধি মেনে হস্টেলে থেকে ছাত্রছাত্রীরা পড়াশুনা করবেন। পড়ুয়াদের পাশাপাশি যেসমস্ত শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীরা এখানে আসবেন তাঁদেরও ভ্যাকসিনের বিষয়টি সুনিশ্চিত করা হচ্ছে। কোনওভাবে কেউ কোভিড আক্রান্ত হলে হস্টেলের মধ্যেই রাখা হবে। এ জন্য আইসোলেশন রুম করা হচ্ছে। তবে রোগের কারণে কারও পরিস্থিতির অবনতি হলে সেক্ষেত্রে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হবে।