গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
তেলিপাড়া গ্রামের ১৪৯ নম্বর বুথে দু’দিন আগে ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে মাটি কাটার কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু, ওই বুথের বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য সুমিত্রা রায়ের দাবি, এ বিষয়ে তাঁকে অফিস থেকে কিছুই জানেনো হয়নি। তাঁর অভিযোগ প্রধান তৃণমূলের লোকজনকে কাজের সুযোগ করে দিয়েছেন।
কুমারগ্রামের বিডিও মিহির কর্মকার বলেন, কামাখ্যাগুড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই বুথে ১০০ দিনের কাজ নিয়ে কী হয়েছে জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে দেখব। বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য সুমিত্রা রায় বলেন, আমি গ্রামের একজন জনপ্রতিনিধি। কিন্তু, বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই প্রধান আমাকে এড়িয়ে চলছেন। ১০০ দিনের কাজ সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা আমাকে দেওয়া হচ্ছে না। অনেক কষ্ট করে আমি কাজের মাস্টাররোল বের করেছি। আমার সুপারভাইজারকে ওই মাস্টাররোল আনার জন্য পঞ্চায়েত অফিসে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু, প্রধান সুপারভাইজারের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে তাড়িয়ে দেন। আমাকে না জানিয়ে অন্য লোকের হাতে মাস্টাররোল তুলে দিয়ে কাজ শুরু করা হয়। আমার বুথে আমার দলের অনেক লোক আছেন, যাঁদের জবকার্ড থাকলেও কাজ দেওয়া হচ্ছে না। তাই আমি কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। প্রয়োজনে জেলাশাসকের দ্বারস্থ হব।
যদিও কামাখ্যাগুড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অলেন ঠাকুর বলেন, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে। ওই পঞ্চায়েত সদস্য আমাকে জানিয়েছিলেন তিনি অসুস্থ। তাই অফিসে আসতে পারবেন না। তাঁর স্বামী এসে কাজের ডিমান্ড দিয়ে গিয়েছিলেন। মাস্টাররোল বের করার পর আমি সুপারভাইজারকে ডেকেছিলাম। কিন্তু, উনি নিতে চাননি। তাই বাধ্য হয়ে আমি অন্য সুপারভাইজারকে দিয়েছি। ডিমান্ডে যতগুলি নাম ছিল সেই অনুযায়ী প্রত্যেককে কাজ দেওয়া হয়েছে।