পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির মধ্যে জলপাইগুড়িতে মামলার সংখ্যা ছিল সর্বাধিক। শনিবার জেলার লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটির উদ্যোগে লোক আদালতের মাধ্যমে মামলাগুলির নিষ্পত্তি করা হয়। আদালত সূত্রে খবর, ওই দিন লোক আদালতে গৃহীত হয়েছিল ৪৫৯৫টি মামলা। তারমধ্যে ১৬০৭টি মামলার নিষ্পত্তি করা হয়েছে। জলপাইগুড়ি, মালবাজার, আলিপুরদুয়ার মিলিয়ে জেলায় বিচারকদের ন’টি বেঞ্চের মাধ্যমে মামলাগুলি মীমাংসা করা হয়। যে মামলাগুলি নিষ্পত্তি হয়েছে, তারমধ্যে যেমন, ব্যাঙ্ক ঋণ পরিশোধ না করা সংক্রান্ত ও চেক বাউন্সের মামলা, তেমনই বিভিন্ন গাড়ি দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ প্রাপকদের সঙ্গে বিমা কোম্পানির মামলা ছিল। আবার ছিল বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা ও বকেয়া বিদ্যুৎ বিল নিয়ে বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার সঙ্গে গ্রাহকদের মামলা।
আদালত সূত্রে খবর, ব্যাঙ্কের লোন রিকভারি মামলায় আদায় হয়েছে ৯৪ লক্ষ ৮১ হাজার ৮৯ টাকা, গাড়ি দুর্ঘটনার বিমা সংস্থা থেকে ক্ষতিপূরণ মামলায় ১ কোটি ৯৩ লক্ষ ৮ হাজার ২০০ টাকা ও বিভিন্ন ক্রিমিনাল মামলায় জরিমানা বাবদ আদায় হয়েছে ১ কোটি ২৪ হাজার ৪৯০ টাকা। উল্লেখ্য, ওই মামলাগুলির মধ্যে বেশ কিছু মামলা পাঁচ থেকে ১০ বছর ধরে জমে ছিল। এর আগে গত বছর ডিসেম্বর মাসে লোক আদালত বসেছিল। তারপর আবার এই লোক আদালত বসানো হল।
আলিপুরদুয়ারেও লোক আদালত বসেছিল। আদালত সূত্রের খবর, ওই দিন জেলার লোক আদালতে জমে থাকা ১০৮০টি মামলা ওঠে। যারমধ্যে ব্যাঙ্ক ঋণ সম্পর্কিত জমে থাকা ৫৫১টি মামলা ছিল। নিষ্পত্তি হয়েছে ৭৭টি মামলার। ৭৭টি মামলা থেকে ২৫ লক্ষ ৪ হাজার ৭২৭ টাকা আদায়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, স্বামী ও স্ত্রী এবং রেলওয়ে সম্পর্কিত জমে থাকা ৫২৯টি মামলা ওঠে। তারমধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে ১০৩টি মামলার। মামলায় অভিযুক্তদের কাছ থেকে ৩৮ লক্ষ ১১ হাজার ৯২০ টাকার আদায়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে জেলায় নিষ্পত্তি হয়েছে ১৮০টি মামলার। আলিপুরদুয়ার মহকুমা আইনি পরিষেবা সমিতির সম্পাদক বিজ্ঞান বসু বলেন, আলিপুরদুয়ারে ওই দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত লোক আদালত চলে। এদিকে, শিলিগুড়িতেও একদিনে নিষ্পত্তি করা হয়েছে ১৫৮টি মামলার। আদালত সূত্রের খবর, কোভিড বিধি মেনে ওই দিন মহকুমায় তিনজন বিচারককে নিয়ে তিনটি বেঞ্চ করা হয়। বেঞ্চগুলির দায়িত্বে ছিলেন, যথাক্রমে সিবিআইয়ের বিশেষ কোর্টের বিচারক মানবেন্দ্র মোহন সরকার, সিভিল জজ সিনিয়ার ডিভিশন চতুর্থ কোর্টের বিচারক স্বরূপকুমার চক্রবর্তী ও অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতের বিচারক অতনু মণ্ডল। ওই দিন লোক আদালতে ১৭৫৫টি মামলার শুনানি করা হয়। তাতে ১৫৮টি মামলা নিষ্পত্তি করা হয়েছে। যারমধ্যে তিনটি পথ দুর্ঘটনায় মৃত তিনজনের পরিবারের সদস্যদের ১৭ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা মেটানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিমা কোম্পানিকে। এর বাইরে ব্যাঙ্কের ঋণ পরিষোধের ৫৫টি মামলায় অভিযুক্তদেরকে ২৮ লক্ষ ৮১ হাজার ৩১১ টাকা এবং ট্রাফিক আইনভঙ্গের ১০০টি মামলায় অভিযুক্তদের কাছে ৩৪ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা আদায়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে মহকুমায় একগুচ্ছ মামলা থেকে একদিনে ৪৬ লক্ষ ৯০ হাজার ৫১১ টাকা আদায়ের নির্দেশ জারি হয়েছে।