কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দু’য়েক আগে রতুয়া থানার কাহালা লস্করপুর এলাকার মিনুদেবীর সঙ্গে সামাজিক ভাবে বিয়ে হয় জগজীবনের। তাদের এক বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তবে বিয়ের পর থেকেই চরম অশান্তি লেগেই থাকত তাদের সংসারে। অশান্তির জেরেই এদিন সকালে এমন ঘটনা ঘটেছে।
এপ্রসঙ্গে মৃত গৃহবধূর দিদি কাজল রবি দাস বলেন, আমার বোনকে তাঁর শ্বশুর নানাভাবে উত্যক্ত করত। এব্যাপারে আমার বোন প্রতিবাদ জানায়। এই নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কলহ বিবাদ লেগেই থাকত।
সেই কলহের জেরে বোনকে শেষপর্যন্ত খুন হতে হল। আমরা জামাই ও তার বাবা দু’জনেরই কঠোর শাস্তি চাই। অভিযুক্ত জগজীবনের কাকা শিবা রবিদাস বলেন, বিয়ের পর থেকেই নানা সময়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা লেগে থাকত। আবার স্বাভাবিক হয়ে যেত। এদিন সকালে এরকম গণ্ডগোলের আওয়াজ শুনতে পাই। তার কিছুক্ষণ পরেই দেখি ভাইপো জগজীবন দৌড়ে বাইরে বেরিয়ে গেল। পরে জানতে পারলাম ও বউকে খুন করেছে। ঘটনার পরে দাদাকেও আমরা আর দেখতে পাইনি। শুনতে পেলাম দাদা পালিয়ে গিয়েছে। পারিবারিক কলহের জের, নাকি অন্য কোনও কারণে বউমা খুন হয়েছে তা পুলিস তদন্ত করে দেখছে।
হরিশচন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাস বলেন, মৃত গৃহবধূরর বাবার বাড়ির লোকজনের অভিযোগের ভিত্তিতে মৃতার স্বামী জগজীবন রাম রবিদাসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিস ঘটনার সবদিক খতিয়ে দেখছে।