পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
চার বছর আগে বাঁকুড়ার তরুণি আকাঙ্খা শর্মা খুনের ঘটনা দেশজুড়ে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল। ভোপালের বাসিন্দা উদয়নের সঙ্গে আকাঙ্খার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। আকাঙ্খাকে আমেরিকায় চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে উদয়ন ভোপালে নিয়ে যায়। বাবা-মা আমেরিকায় থাকে বলে উদয়ন আকাঙ্খাকে জানায়। তারপর নানা অজুহাত দেখিয়ে সে বাড়িতেই আকাঙ্খাকে কার্যত আটকে রাখে। একদিন আলমারি খুলে আকাঙ্খা উদয়নের বাবা ও মায়ের পাসপোর্ট দেখতে পায়। তখন আকাঙ্খার কাছে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায়। আকাঙ্খা বাড়ি ফেরার কথা বলতেই শ্বাসরোধ করে উদয়ন তাঁকে খুন করে। খুনের পর আকাঙ্খার দেহ একটি টিনের বাক্সে ভরে মেঝের উপর সিমেন্টের বেদি তৈরি করে ফেলে। তার বেশ কয়েকমাস আগেই অবশ্য সম্পত্তি হাতাতে উদয়ন তার বাবা-মাকে খুন করে ছত্তিশগড়ের রায়পুরের বাংলোর বাগানে পুঁতে দিয়েছিল। বাবা-মায়ের সই নকল করে ওই বাংলো সে পরে বিক্রি করে দেয়। কালিয়াচকের আসিফও একই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে পুলিসের দাবি। বাবা, মা, দিদি ও ঠকুমাকে খুন করার পর বাড়ির মেঝেতে সে দেহ পুঁতে রাখে। তারপর টানা প্রায় চার মাস সে ওই বাড়িতেই ছিল। খুনের ঘটনার পর উদয়নের মতোই সে প্রতিবেশীদের থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখেছিল। অনলাইনে অর্ডার দিয়ে খাবার আনাত। উদয়নের মতোই সে সবসময় ভার্চুয়াল জগতে থাকত। তার ল্যাপটপে বিভিন্ন ধরনের ক্রাইম থ্রিলার পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিস জানিয়েছে।
আসিফের আত্মীয় তথা প্রতিবেশী নওশাদ আলি বলেন, আসিফের বাবার গাড়ির ব্যবসা ছিল। বছর আঠারোর আসিফ কয়েক মাস আগে বাবাকে জোর করে গাড়িগুলি বিক্রি করায়। আসিফের নামে বসত বাড়িটি লিখে দিয়েছেন বলে তার বাবা আমাদের মাস ছয়েক আগে জানিয়েছিলেন। খুনের পর আমরা আসিফকে বাবা-মা সহ পরিবারের সদস্যদের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করতাম। প্রত্যেকে বাইরে চলে গিয়েছে বলে সে দাবি করত। সে একটি সফটওয়্যার তৈরি করছে বলে দাবি করে। সেই কারণে সে নিজেকে অন্যদের থেকে দূরে সরিয়ে রাখে বলে জানায়। সম্প্রতি আসিফ বসত বাড়ি বিক্রি করার জন্য ক্রেতার খোঁজ শুরু করে। বাবাকে সামনে না আনলে বাড়ি বিক্রি করতে দেওয়া হবে না বলে আমরা আসিফকে স্পষ্ট জানিয়ে দিই। তখন তার দাদার সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করি। কলকাতা থেকে শুক্রবার রাতে তার দাদা ফেরার পর পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হয়। উদয়নের ঘটনা আমরা সংবাদমাধ্যম মারফত জানতে পেরেছিলাম। বাড়ির পাশে আরও এক উদয়ন যে এভাবে ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে তা ভাবিনি।