বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ময়নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত, খাগড়াবাড়ি-১, মাধবডাঙা-১ ও দোমোহনি-১ গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে ময়নাগুড়ি পুরসভা গঠন হতে যাচ্ছে। এরমধ্যে ময়নাগুড়ি ও খাগড়াবাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের অধিকাংশ এলাকাই প্রস্তাবিত পুরসভা এলাকার মধ্যে পড়ছে। পুরসভা গঠন হলে ময়নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য আর ওই পদ থাকবেন না। এদিন তাঁরাও পুরসভা গঠনে এনওসি দেন।
ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অমিতাভ চক্রবর্তী বলেন, আমরা ময়নাগুড়ির সাধারণ মানুষ। ময়নাগুড়ি পুরসভা হোক সেটা সকলে চায়। আমি তৃণমূল কংগ্রেসের একজন সৈনিক। মুখ্যমন্ত্রী ময়নাগুড়িকে পুরসভা করছে এটা সকলের কাছেই খুশির খবর। তবে একটাই দুঃখ আমি পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ হয়ে আরও কাজ করতে চেয়েছিলাম। যা এতদিন করা হয়নি। তবে পুরসভা হওয়ায় আমি খুশি।
ময়নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সজলকুমার বিশ্বাস বলেন, ময়নাগুড়ি পুরসভা হচ্ছে এর থেকে আনন্দের সংবাদ আর কী হতে পারে। আমাদের গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৩ জন সদস্যের মধ্যে ১৫ জন সদস্যের এলাকা প্রস্তাবিত পুরসভার এলাকার মধ্যে পড়ছে। বাকিদের নিয়ে আলাদা গ্রাম পঞ্চায়েত গঠন হবে। আপাতত ময়নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি কক্ষে পুরসভার কাজ শুরু হবে। আমাদের এনওসি জেলাশাসকের মাধ্যমে নবান্নে যাবে। সেখান থেকে নোটিফিকেশন জারি হলে আমাদের বর্তমান পদ খারিজ হবে। ময়নাগুড়িকে পুরসভা করার কাজ অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে।
ময়নাগুড়ির বিডিও শুভ্র নন্দী বলেন, শীঘ্রই পুরসভা গঠন হতে চলেছে। এই বিষয়ে এদিন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক ছিল। তাঁদের কাছ থেকে এনওসি সংক্রান্ত কাগজপত্র নিয়েছি। ওসব শীঘ্রই জেলায় পাঠানো হবে।
ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিবম রায় বসুনিয়া বলেন, দীর্ঘদিনের ময়নাগুড়িবাসীর দাবি পূরণ হতে চলেছে। আমাদের কাছে একটি অর্ডার এসেছে প্রস্তাবিত পুর এলাকায় যাঁরা জনপ্রতিনিধি আছেন তাঁদের থেকে এ ব্যাপারে এনওসি নেওয়ার, সেটা নেওয়া হল। ৭-১০ দিনের মধ্যে পুরসভা গঠনের ব্যাপারে আশা করি বিজ্ঞপ্তি জারি হবে।