কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
দপ্তরের দাবি, আগামী দিনে বোরো ধান সংগ্রহের কাজ শুরু হলে লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য যেটুকু ধান সংগ্রহ করা প্রয়োজন, তা সহজেই হয়ে যাবে। কোচবিহার জেলায় কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেই সহায়কমূল্যে ধান সংগ্রহের কাজ চলছিল। ২০২০ সালের নভেম্বর মাস থেকে ২০২১ সালের মে মাস পর্যন্ত মোট ১ লক্ষ ৫ হাজার মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল ১ লক্ষ ২০ হাজার মেট্রিক টন। কোচবিহারের জেলা খাদ্য নিয়ামক দাওয়া ওয়াংগেল লামা বলেন, ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের প্রায় কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছি। আশা করি, শীঘ্রই বোরো ধান কেনা শুরু হয়ে যাবে। তখন নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হবে। আগামী তিনমাসে জেলায় যত পরিমাণ চাল দরকার তা এখন সরকারের গোডাউনে মজুত আছে। কোনওরকম প্রাকৃতিক বিপর্যয় হলেও জেলায় আপাতত কয়েকমাস চালের কোনও সমস্যা হবে না। জেলা খাদ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে জেলায় ১ লক্ষ ২০ হাজার মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজে নামা হয়েছিল। এখন নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রার থেকে মাত্র ১৫ হাজার মেট্রিক টন দূরে রয়েছে খাদ্যদপ্তর। যে পরিমাণ ধান কেনা হয়েছিল, তা রাইস মিলে ভাঙিয়ে চাল তৈরি করা হয়েছে। এর থেকে মোট ৭১ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হয়েছে। ওই চাল রেশন দোকানের মাধ্যমে বণ্টন হচ্ছে। জেলার ন’টি গোডাউনে ২৪ হাজার মেট্রিক টন চাল মজুত করে রাখা আছে। যা দিয়ে আগামী তিনমাস অনায়াসে চলে যাবে বলে দাবি খাদ্যদপ্তরের।
এদিকে বোরো ধান উঠলেই ধান সংগ্রহের নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রার বাকি ১৫ হাজার মেট্রিক টন সংগ্রহ করবে খাদ্যদপ্তর। কোচবিহার জেলায় উৎপাদিত ধান বাইরের কোনও জেলায় পাঠানো হয় না। এখানকার ধান থেকে যে চাল উৎপাদন হয় তা জেলাতেই খরচ করা হয়।