দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিকেলে একপক্ষ জমিতে মাটি কাটার সময় অপরপক্ষ বাধা দেয়। ওই সময় দু’পক্ষের মধ্যে বচসা হয়। পরে রাতে দু’পক্ষ জমায়েত হয়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে যায়। পরিস্থিতি সংঘর্ষের আকার নেয়। রাত ২টো নাগাদ দু’পক্ষই একেঅপরের বিরুদ্ধে পুলিসের কাছে লিখিত অভিযোগ জানায়। যদিও গভীর রাতে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব উভয়পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা মেটায়।
বলরামপুর পুলিস ফাঁড়ির ওসি মন্তেষ চৌধুরী বলেন, জমি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। দু’পক্ষের কয়েকজনকে আটক করে ফাঁড়িতে নিয়ে আসা হয়েছিল। পরে ওরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে মিটিয়ে নেয়। ওই ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। গ্রামবাসীরা গুলির আওয়াজ শুনেছেন বলে দাবি করেন। তবে সেটি পিস্তলের গুলি না, পটকা ফাটানোর শব্দ ছিল সেটা আমরা খতিয়ে দেখছি।
স্থানীয় বিজেপি নেতা নিমাই মণ্ডল বলেন, জমি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। এতে রাতভর গ্রামে উত্তেজনা ছড়ায়। একপক্ষ বাইরে থেকে দুষ্কৃতীদের নিয়ে এসেছিল। বলরামপুরে শান্তির পরিবেশ তৃণমূল নষ্ট করছে। ফের এ ধরনের ঘটনা ঘটলে গ্রামবাসীদের নিয়ে আন্দোলনে নামা হবে।
তুফানগঞ্জ-১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তৃণমূলের ছামিউল ইসলাম বলেন, দুই পরিবারের মধ্যে জমি নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল। আমরা গিয়ে উভয়পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসে সমস্যা মিটিয়ে দিয়েছি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে একপক্ষ জমির মাটি কাটছিল। অপরপক্ষ এসে বাধা দিলে প্রথমে বচসা হয়। পরে রাতে অপরপক্ষ লাঠিসোঁটা, তিরধনুক, পিস্তল নিয়ে চড়াও হয়। উভয়পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।