বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, গত পাঁচদিনে যেসব এলাকায় সংক্রমণের হার বেশি সেই এলাকাকেই কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ এসেছে। তাতে গত পাঁচদিনে শিলিগুড়ি পুরসভার ৪৫ এবং ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের দু’টি এলাকায় সংক্রমণের হার তুলনায় বেশি বলে চিহ্নিত হয়েছে। কিন্তু, এর বাইরে আরও কিছু এলাকা রয়েছে যেগুলিতে সংক্রমণের গ্রাফ ওঠা-নামা করছে। সম্ভাব্য তৃতীয় ঢেউয়ের কথা মাথায় রেখে পরিস্থিতি পুরেপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেই সব এলাকাকেও কন্টেইনমেন্ট জোন করা হতে পারে। কন্টেইনমেন্ট জোনে নিয়মিত স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে এলাকার মানুষের উপর নজর রেখে প্রয়োজনে করোনা টেস্ট করার উপর জোর দেওয়া হবে। যাতে একজনের থেকে অন্যদের মধ্যে সংক্রমণ না ছড়িয়ে পড়তে পারে।
কিন্তু, ওয়ার্ড ভিত্তিক সংক্রমণের পুরো তথ্য জোগার করতে শিলিগুড়ি পুরসভাকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। পুরসভাকে বেসরকারি ল্যাব ঠিকমতো তথ্য না দেওয়ায় এই সমস্যা হচ্ছে বলে জানান কমিশনার। ফলে প্রথম থেকে জিও ট্র্যাকিং করা যায়নি। এখন জিও ট্র্যাকিংয়ের কাজ চলছে। তারপর আর সমস্যা হবে না বলে পুর কমিশনার আশা প্রকাশ করেন।
শিলিগুড়ি পুরসভার ৪৭টি ওয়ার্ডে এপ্রিল মাস থেকে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত মোট ১১ হাজারের কিছু বেশি মানুষ করোনা সংক্রামিত হয়েছে বলে পুরসভা সূত্রে খবর। এরমধ্যে সুস্থ হয়েছে ৭০০০’র বেশি মানুষ। ৩০০০’র কিছু বেশি মানুষ এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মৃত্যুর সংখ্যা ২০০’র কিছু কম। গতবারের তুলনায় এবার সংক্রমণ বেশি কিন্তু চরিত্র বদলে যাওয়ায় কন্টেইনমেন্ট জোন চিহ্নিতকরণে সমস্য হচ্ছে বলে জানান কমিশনার। তিনি বলেন, এবার একটি বাড়িতে প্রায় সবাই সংক্রামিত হচ্ছে। কিন্ত, সেই বাড়ির লাগোয়া বাড়িগুলিতে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে না। বেশ কয়েকটা বাড়ি বাদ দিয়ে আবার এক বা দু’টি বাড়িতে সংক্রামিত ব্যক্তির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে। এরকম বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন বাড়িতে সংক্রামিত হওয়ায় একটা এলাকাকে কন্টেইনমেন্ট জোন চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আলোচনা চলছে কী করে এই পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠা যায়।