পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
গত ২ এপ্রিল ফালাকাটায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী জনসভার দিনই কালচিনির সুভাষিনী চা বাগানের মাঠে অমিত শাহর সভায় তৃণমূল ছেড়ে নিজের অনুগামী পদ্মাদেবী ও পাশাং ডিকি শেরপাকে নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন মোহনবাবু। মোহনবাবুদের বিজেপিতে যাওয়ার সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরের কাগজের কাটিং, ভিডিও ও অন্যান্য প্রামাণ্য নথিপত্রও জোগাড় করেছে জেলা পরিষদ ও তৃণমূল নেতৃত্ব। পরিষদের পাঠানো ওই চিঠির সঙ্গেই মোহনবাবুদের বিজেপিতে যাওয়ার ওই প্রামাণ্য নথিপত্র জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব রাজ্যে পাঠাচ্ছে। যদিও পরিষদের ও তৃণমূল নেতৃত্বের এই উদ্যোগকে কটাক্ষ করে মোহনবাবু জানিয়েছেন, তৃণমূল পঞ্চায়েত আইন জানে না।
সভাধিপতি শীলাদেবী বলেন, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া পরিষদের ওই তিনসদস্যের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে ব্যবস্থা নিতে রাজ্যে চিঠি পাঠানো হয়েছে। দলের জেলা সভাপতিকেও ওই চিঠি দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃদুলবাবু বলেন, জেলা থেকে দলের তরফেও আলাদা করে পরিষদের পাঠানো ওই চিঠি রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠানো হচ্ছে।
মৃদুলবাবু বলেন, জেলা পরিষদে আমাদের দলই সংখ্যাগরিষ্ঠ। তাই দলত্যাগ বিরোধী আইনে পরিষদের ওই তিন সদস্যের সদস্য পদ খারিজের জন্য দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে আবেদন করা হয়েছে। প্রামাণ্য নথিপত্রও পাঠানো হচ্ছে।
মোহনবাবু তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি ছাড়াও জেলা পরিষদের মেন্টর পদেও ছিলেন। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে পরিষদের মেন্টর সহ ১১টি সরকারি কমিটির পদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছিলেন। এ বিষয়ে মোহনবাবু বলেন, এখনই ওসব নিয়ে কিছু বলছি না। ধীরে চলার নীতি নিয়েছি। তবে তৃণমূল ত্রিস্তর পঞ্চায়েত আইন জানে না।
আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের মোট সদস্য সংখ্যা ১৮। এরমধ্যে পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল ১৭ এবং বিজেপি একটি আসন পায়। গতবছর করোনায় আক্রান্ত হয়ে পরিষদের এক তৃণমূল সদস্য সন্তোষ বর্মন মারা যান। মোহনবাবু সহ তিনজন বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় পরিষদে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা এখন ১৩। মোহনবাবুদের সদস্য পদ খারিজের বিষয়ে পরিষদে তৃণমূলের ১৩ জনই সহমত পোষণ করেছেন। যদিও মঙ্গলবার সভাধিপতি মোহনবাবুদের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দলের জেলা সভাপতির কাছে ও রাজ্যকে যে চিঠি দিয়েছেন তাতে ১০ জন সদস্য সই করেছেন। সভাধিপতি অবশ্য বলেন, পরিষদের সহকারী সভাধিপতি মনোরঞ্জন দে ব্যক্তিগত কাজে বাইরে আছেন।
পরিষদের আরএক সদস্য আশা নার্জিনারির ছেলে অসুস্থ। সেই জন্য তাঁরা চিঠিতে সই করতে পারেননি। আরএক সদস্য আশমায়া সুব্বা ব্যক্তিগত কারণে পরিষদে আসতে পারেননি তাই তাঁর স্বাক্ষর নেই।