কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বালুরঘাট সদর ডিএসপি (হেড কোয়ার্টার) সোমনাথ ঝা বলেন, বালুরঘাট সাইবার ক্রাইম থানায় মাঝেমধ্যেই সাইবার প্রতারকরা সাধারণ মানুষের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এনিয়ে সাইবার ক্রাইম থানায় অনেক অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এধরনের অপরাধ রুখতে পুলিসের পক্ষ থেকে ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। ব্যাঙ্কগুলিকে এব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে।
বালুরঘাটের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ম্যানেজার রাজকুমার কেশরী বলেন, সাইবার প্রতারকরা বিভিন্ন উপায়ে মানুষের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। ব্যাঙ্ক থেকে তথ্য বের হওয়ার উপায় নেই। দেশের যেকোনও প্রান্ত থেকেই তারা এই কাজ করছে। সব শ্রেণীর মানুষকেই তারা টার্গেট করে। তবে অবসরপ্রাপ্তরা মোবাইল সম্পর্কে কম বোঝে বলেই প্রতারকদের সুবিধা হয়। যদিও আমাদের তরফে এধরনের ফ্রড কলে সাড়া না দেওয়ার জন্য প্রচার চালাচ্ছি।
বালুরঘাট সাইবার ক্রাইম থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতারকরা আগে বিভিন্ন উপায়ে তথ্য চুরি করছে। বিশেষ করে ব্যাঙ্ক বা অন্য কোনও মাধ্যমে সেই তথ্যগুলি তারা হ্যাক করছে। এরপরই টার্গেট হচ্ছেন অবসরপ্রাপ্তরা সাইবার বিশেষজ্ঞ সূত্রের খবর, দেখা গিয়েছে, এক লক্ষ টাকা তুলে নেওয়ার পর কোনও অ্যাকাউন্টে ৪ টাকা, ৬ টাকা, ১০ টাকা, এভাবে ছোট ছোট অংশে ট্রান্সফার করে দিচ্ছে। যাতে সাইবার গোয়েন্দারা সেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি খুঁজে না পায়। নতুন এই কীর্তির প্রমাণ পেয়ে হতবাক বালুরঘাট সাইবার ক্রাইম থানার অফিসাররা। সমস্যায় পড়েছেন তদন্তকারী অফিসাররাও।
চলতি মাসে বালুরঘাট থানায় একাধিক অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পয়লা জুন বালুরঘাটের এক অবসরপ্রাপ্ত অফিসার অভিযোগ দায়ের করেন। সেই ব্যক্তিকে একইভাবে ফোন করে নয় লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারকরা। ওই সপ্তাহেই বালুরঘাট কলেজের একজন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপকের অ্যাকাউন্ট থেকে ১২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সাইবার প্রতারকরা। জানা গিয়েছে, ওই অধ্যাপক প্রতারকের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ ফোনে কথা বলেছিলেন। নানা অছিলায় ওটিপি পেয়ে টাকা গায়েব করে। এছাড়াও আরও বেশকিছু অবসরপ্রাপ্তদের কম অঙ্কের টাকার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ব্যাঙ্ক ও সাইবার ক্রাইম থানা থেকে এনিয়ে সচেতন করা হলেও কেউ কেউ ফাঁদে পড়ছে। যার ফলে উদ্বেগ বাড়ছে জেলা পুলিসের।