কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
কিন্তু সম্প্রতি তৃণমূল পরিচালিত রায়গঞ্জ পুরসভা,পুর চেয়ারম্যান এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসায় তাঁর পঞ্চমুখ হওয়াকে কেন্দ্র করেই জল্পনা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শহরের দেবীনগর এলাকার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপিতে যোগদানকারী কাউন্সিলারকে দলে না ফেরানোর দাবিতে পোস্টার পড়েছে।
যদিও এব্যাপারে অসীমবাবু বলেন, কে বা কারা এগুলি লাগিয়েছে তা জানি না। বিগত চার বছর ধরে আমি তৃণমূলের একজন সক্রিয় নিষ্ঠাবান কর্মী হিসেবে কাজ করছি। ভুল বোঝাবুঝির জন্য আজ এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এখনও নিজেকে একজন রায়গঞ্জ পুরসভার পরিবারের সদস্য বলেই মনে করি।
তৃণমূলের স্থানীয় কর্মীরা বলেন, নির্বাচনের আগে অসীম অধিকারী দলের সঙ্গে বেইমানি করেছেন। সেই সময় আমাদের দলের কর্মীরা একযোগে তাঁর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। সুবিধামতো অন্য দলে চলে যাওয়া এবং সুযোগ বুঝে ফের পুরানো দলে ফেরার উদ্যোগ এলাকার লোকজন ভালোভাবে নিচ্ছে না। যদিও দল এব্যাপারে যা সিদ্ধান্ত নেবে তা আমরা মেনে নেব।
বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার বলেন, অসীমবাবুর বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূলে যাওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না।
রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান তথা জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, গণতান্ত্রিক দেশে যে কেউ তাঁর মনোভাব প্রকাশ করতেই পারেন। অসীমবাবুর উপর এলাকার মানুষের ক্ষোভ থাকতেই পারে। তারই বহিঃপ্রকাশ এই ঘটনা। তবে তাঁর দলে ফেরার বিষয়টি আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দেখছে। এটা কারও ব্যক্তিগত ইচ্ছা -অনিচ্ছার উপরে নির্ভর করে না।