পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সপ্তাহে দু’দিন রবিবার ও বৃহস্পতিবার নয়ারহাট বাজারে হাট বসে। ব্যবসায়ীরা বলেন, গত রবিবার হাটে ভুট্টা কিনতে আসা এক পাইকারি ব্যবসায়ীকে কিছু দুষ্কৃতী তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করে। তাঁর কাছে থাকা টাকাকড়ি দুষ্কৃতীরা কেড়ে নেয়। এ নিয়ে মাথাভাঙা থানায় অভিযোগ জানানো হলেও পুলিস এখনও কেউকে ধরতে পারেনি। বাধ্য হয়ে আমরা এদিন কৃষিপণ্য কেনা বন্ধ রাখি। এলাকায় প্রতিবাদ মিছিল করি। দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে এদিনই নয়ারহাট বাজারে মিছিল করে তৃণমূল কংগ্রেস। তারাও দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানায়। এদিন কৃষিপণ্য কেনা বন্ধ থাকলেও বাজারে অন্য দোকানপাট খোলা ছিল। পুলিস জানিয়েছে, ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এদিকে, এদিন কৃষিপণ্য পাইকারি ব্যবসায়ীরা না কেনায় চরম সমস্যায় পড়তে হয় মাথাভাঙা-১ ব্লকের চাষিদের। ব্লকের ছ’টি গ্রাম পঞ্চায়েতের কৃষকরা এখানে কৃষিজপণ্য বিক্রি করেন। এদিন বাজারে ভুট্টা বিক্রি করতে এসে ফেরত নিয়ে যেতে হয় কৃষক হিতেন্দ্রনাথ বর্মনকে। তিনি বলেন, ব্যাঙ্ক থেকে লোন নেওয়া টাকার সাপ্তাহিক কিস্তি বৃহস্পতিবার করে দিই। হাটে ভুট্টা বিক্রি করে সেই কিস্তি দেব ভেবেছিলাম। কিন্তু, কেউ ভুট্টা কিনল না। বাড়িতে ফেরত নিয়ে যেতে হচ্ছে।
হাটে ভুট্টা বিক্রি করতে এনেছিলেন জগেন বর্মন। তিনি বলেন, বাড়িতে সব্জি, চাল নেই। ভুট্টা বেচে ওসব কিনব ভেবেছিলাম। কিন্তু ভুট্টা বিক্রি হল না। এখন ধার করে চাল, সব্জি কিনতে হবে। পাইকারি ব্যবসায়ীদের পক্ষে নারায়ণ সাহা বলেন, আমাদের এক ব্যবসায়ীকে দুষ্কৃতীরা মারধর করে টাকা কেড়ে নিয়েছে। আমরা ওই ঘটনার পর চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। পুলিসের কাছে অভিযোগ করার পরও এখনও কেউ ধরা পড়েনি।
মাথাভাঙার এসডিপিও শুভেন্দু মণ্ডল বলেন, নয়ারহাটে ব্যবসায়ীকে মারধর করার ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। শীঘ্রই দুষ্কৃতীরা ধরা পড়বে।
গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে নয়ারহাট বাজারে হুমকি, তোলাবাজির অভিযোগ উঠছে কিছু দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। গত রবিবার ওই দুষ্কৃতীরা কয়েকজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মোটা টাকা দাবি করে। এক ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে গিয়ে টাকাপয়সা ছিনিয়ে নিয়ে মারধর করে বলে অভিযোগ।