বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
জেলা কৃষিদপ্তর জানিয়েছে, কৃষকবন্ধু প্রকল্পে সহায়তা দিতে জেলা থেকে ১ লক্ষ ৬২ হাজার কৃষকের নাম পাঠানো হয়েছিল। তার মধ্যে কাগজপত্রে ত্রুটি থাকার কারণে প্রায় ২ হাজার নাম বাতিল হয়েছে। তবে সেই কৃষকরাও যাতে বঞ্চিত না হন, সেবিষয়ে দপ্তরের তরফে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে কৃষি আধিকারিকরা আশ্বাস দিয়েছেন। কৃষকরা বলেন, বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, তৃণমূল তৃতীয়বার রাজ্যে ক্ষমতায় এলে কৃষকবন্ধু প্রকল্পে সহায়তা দ্বিগুণ করা হবে। তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার দেড় মাসের মধ্যেই সেই কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি এই প্রকল্পের সূচনা করেন। তাঁর এই উদ্যোগে খুশি জেলার কৃষকরা।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মুখ্য কৃষি আধিকারিক আশিস বারুই বলেন, কৃষি প্রধান এই জেলার ১ লক্ষ ৬০ হাজার কৃষক কৃষকবন্ধু প্রকল্পের সহায়তা পেতে চলেছেন। ৫৫২ জন মৃত কৃষকের পরিবার ডেথ বেনিফিটের সহয়তা পাবে। দ্রুত টাকা কৃষকদের ব্যাঙ্ক আকাউন্টে সরাসরি ঢুকে যাবে।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি গৌতম দাস বলেন, মুখ্যমন্ত্রী কথা রেখেছেন। তিনি যে অহেতুক প্রতিশ্রুতি দেন না তা আবার প্রমাণ করলেন। জেলার কৃষকরা এতে উপকৃত হবেন।
বালুরঘাটের বোয়ালদার গ্রাম পঞ্চায়েতের নলতাহার গ্রামের বাসিন্দা কৃষক পরিমল মহন্ত বলেন, শুনতে পেলাম কৃষকবন্ধু প্রকল্পের টাকা দ্বিগুণ করা হয়েছে। ভোট প্রচারে এসে তিনি যেভাবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা দেড় মাসের মধ্যেই সত্যিই করে দেখালেন। নতুন রূপে কৃষকবন্ধুর টাকা পাওয়ার আশায় আছি। সত্যিই এতে আমরা বড় উপকৃত হব। এখন আমন ধান রোপণ করার সময়। এ সময়ে এই টাকা আমাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকলে ঋণ নিয়ে চাষাবাদ করতে হবে না।
দক্ষিণ দিনাজপুর কৃষি প্রধান জেলা। ধান, পাট, গম, ভুট্টা, ছাড়াও এখানে প্রচুর পরিমাণে সব্জি চাষ হয়ে থাকে। বিধানসভা ভোটের প্রচারে এসে প্রত্যেকটি জনসভায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কৃষকবন্ধু প্রকল্পে সহায়তা দ্বিগুণ করা হবে। মূলত কৃষি প্রধান জেলার চাষিদের মন পেতে এমন কৌশল নেওয়া হয়। যদিও বিরোধীরা এনিয়ে ভোটের বাজারে অপ্রচার করে। তবে বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে প্রকল্পের সূচনা করতেই জেলার কৃষকদের মধ্যে খুশির হাওয়া ছড়িয়ে পড়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের কিষান যোজনার টাকা জেলায় মাত্র কয়েক হাজার কৃষক পেয়েছেন। তবে এখন রাজ্য সরকারের কৃষকবন্ধু প্রকল্পের সুবিধা বিপুল সংখ্যক কৃষক পেতে চলেছেন।