কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
গতবছর করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার সময় এখানে কোভিড সংক্রামিতদের চিকিৎসার জন্য সেফহোম খোলা হয়েছে। এবারও এখানে সেফহোম চলছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর সেফহোম সরে গেলে এই ইন্ডোর স্টেডিয়ামকে উন্নত ও আন্তর্জাতিক মানের করে তোলার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে শিলিগুড়ি পুরসভা।
সোমবার শিলিগুড়িতে এসেছিলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তাঁর সঙ্গে শিলিগুড়ির উন্নয়নের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান গৌতম দেব ও বোর্ড সদস্য রঞ্জন সরকার। তাঁরা ক্রীড়ামন্ত্রীকে শিলিগুড়ি ইন্ডোর স্টেডিয়ামকে ঢেলে সাজানোর প্রস্তাব দেন। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে গৌতমবাবু বলেন, রাজ্যের ক্রীড়া ও বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে আমরা শিলিগুড়ি মিউনিসিপ্যাল ইন্ডোর স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক মানের করে তোলার জন্য প্রস্তাব দিয়েছি। টেবল টেনিসের শহরে এই স্টেডিয়ামকে ভিত্তি করেই যাতে স্থানীয় খেলোয়াড়রা নিয়মিত অনুশীলনের সুযোগ পান এবং এই স্টেডিয়ামে যাতে আন্তর্জাতিক স্তরের টেবল টেনিস প্রতিযোগিতার আয়োজন করা যায়, সেকথা মাথায় রেখে আমরা একে ঢেলে সাজতে চাইছি। এ ব্যাপারে তিনি শিলিগুড়ি পুরসভার কাছে ডিজাইন প্ল্যান চেয়েছেন। আমরা তা করে শীঘ্রই মন্ত্রীর কাছে পাঠাব।
ইন্ডোর স্টেডিয়ামে টেবল টেনিসের পাশাপাশি বাস্কেটবল ও ব্যাডমিন্টনের অনুশীলনের কোট রাখার পরিকল্পনা রয়েছে বলে গৌতমবাবু জানান। তিনি বলেন, যেভাবে ইন্ডোর স্টেডিয়ামটি তৈরি হয়েছে, তাতে এখানে যদি এই তিনটি ইভেন্ট চালু করা সম্ভব না হয়, তাহলে আমরা ব্যাডমিন্টনের জন্য আলাদা জায়গায় ব্যবস্থা করব। সেক্ষেত্রে টেবল টেনিস ও বাস্কেটবলের কোর্ট রাখা হবে। আন্তর্জাতিক মানের মতো করে স্টেডিয়ামটি সাজিয়ে তোলার পাশাপাশি এরপাশে আমরা একটি স্পোর্টস হোস্টেল তৈরিরও উদ্যোগ নিচ্ছি। স্টেডিয়ামের পাশেই একটি ভবনে সিবিআইয়ের আদালত ছিল। গৌতমবাবু বলেন, ২০১১ সালে সিবিআই আদালতের জন্য এই জায়গা আমিই ব্যবস্থা করে দিয়েছিলাম। সেটি এখন সিবিআই সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে। ফলে জায়গাটি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। সেখানে আমরা ছোট আকারের একটি স্পোর্টস হস্টেল তৈরি করব। যাতে খেলোয়াড়দের ইন্ডোর স্টেডিয়ামে অনুশীলনের জন্য থাকার ব্যাপারে কোনও সমস্যা না হয়।
শিলিগুড়ির পাশাপাশি জলপাইগুড়ির বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গণের ব্যাপারেও গৌতমবাবু রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রীকে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সেখানেও করোনা সংক্রামিতদের চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেলে জলপাইগুড়ির বিশ্ববাংলা স্টেডিয়ামের সংস্কারের কাজ শুরু হবে। পাশাপাশি শিলিগুড়ি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের কাজ খুব দ্রুত আমরা শুরু করতে চাইছি। ক্রীড়ামন্ত্রীর কাছ থেকে আমরা দু’টি ব্যাপারেই সাড়া পেয়েছি।
২০০০ সালে শিলিগুড়ি ইন্ডোর স্টেডিয়াম উদ্বোধন হয়েছিল। জাতীয় পর্যায়ের কয়েকটি টেবল টেনিস প্রতিযোগিতা এবং মহেশ ভূপতি, সানিয়া মির্জাদের নিয়ে প্রীতি টেনিস ম্যাচ ছাড়া তেমন কোনও প্রতিযোগিতামূলক খেলার আসর এখানে বসেনি। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে স্টেডিয়ামের বিভিন্ন জায়গায় ভাঙন ধরেছিল। সেসময় কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূল শিলিগুড়ি পুরসভায় ক্ষমতায় থাকার সংস্কারের কিছু কাজ হয়েছিল।