গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
উল্লেখ্য, গত ১০ জুন ভারতে অনুপ্রবেশের সময় ওই চীনা নাগরিককে বিএসএফ পিছু ধাওয়া করে ধরে ফেলে। বিএসএফের চোখে ধুলো দিয়ে প্রথমে সে পালানোর চেষ্টা করে। তবে স্থানীয় বাসিন্দা এক মহিলা হানকে ধরতে বিএসএফকে সাহায্য করেন বলে জানা গিয়েছে। কালিয়াচক থানার মিলিক সুলতানপুর এলাকার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পার হয়ে হান এদেশে ঢোকে। সে নদী সাঁতরে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসে ওঠে। এ দেশে ঢোকার আগে বাংলাদেশের ভিসা নিয়ে ওই চীনা নাগরিক সেদেশের রাজধানী ঢাকায় এক সপ্তাহ ছিল। পরে বাংলাদেশের বাসিন্দা এক ব্যক্তির সাহায্যে সড়কপথে সীমান্তঘেঁষা বাংলাদেশের চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলার একটি বাড়িতে পৌঁছয়। সেখান থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করে। বাংলাদেশে হানের সাহায্যকারী ব্যক্তিও চীনা নাগরিক বলে পুলিসের সন্দেহ। কারণ, কোনও গোপন ‘অপারেশনে’ চীনারা অন্য দেশের নাগরিককে ভরসা করে না বলে পুলিসের ধারণা। যদিও ওই সাহায্যকারীর বিষয়টি হান এড়িয়ে গিয়েছে। এমনকী পুলিসি জেরায় হান বারবার বয়ান পাল্টাচ্ছে বলেও তদন্তকারীরা জানিয়েছেন। তার কথায় একাধিক বিষয়ে অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। বাংলাদেশ এবং ভারতে কে বা কারা তাকে কী কী সাহায্য করেছে সে সম্পর্কে হান পুলিসকে সেভাবে কিছু জানাচ্ছে না।
এদিন সীমান্তে গিয়ে হান কিছুটা আবেগতাড়িত হয়ে পড়ে। তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য পুলিসের কাছে ওই চীনা নাগরিক কাতর আর্জি জানাতে থাকে। সে ভুল করে ভারতে ঢুকে পড়েছিল বলে বারবার দাবি করতে থাকে। তার অন্য কোনও মতলব ছিল না বলেও সে দাবি করে। এমনকী ভারতে থাকতে চায় না বা ভবিষ্যতে কোনওদিন আর এদেশে পা রাখবে না বলে পুলিসকে জানায়। ভাঙা ভাঙা ইংরাজিতে পুলিসকর্তাদের হান বলে, ‘আমার কোমরের দড়ি ও হাতকড়া খুলে দিন। আমাকে সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে যেতে দিন। আমি আমার নিজের দেশে ফিরে যেতে চাই। আমি এখানে (ভারতে) আর থাকতে চাই না।’ তদন্তকারীরা অবশ্য হানের আবেদনকে গুরুত্ব দেননি। এক তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, হান যে নিছক আর্থিক জালিয়াতির জন্য এদেশে অনুপ্রবেশ করেনি, তা নিয়ে মোটামুটি নিশ্চিত আমরা। চীনা গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে সে চরবৃত্তি করতে এদেশে ঢুকেছিল কি না, তা জানতে তদন্ত প্রয়োজন। কারণ, গুপ্তচরদের মতোই ওই চীনা নাগরিক আচরণ করছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিষয়ে তার ক্ষুরধার জ্ঞান রয়েছে।