পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পুরসভা শহরে মোট ১৭টি ডিপ টিউবওয়েল বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গৌতম দেব এদিন বলেন, ১৯৯৪ সালে শিলিগুড়ির বর্তমান পানীয় জল প্রকল্পটি তৈরি হয়েছিল। জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও রক্ষণাবেক্ষণের ত্রুটিতে প্রকল্প আর কতদিন পরিষেবা দিতে পারবে তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য ৫৫০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। ওই প্রকল্প নিয়ে রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছি।
এদিন শিলান্যাস অনুষ্ঠানে এসে গৌতম দেব জানিয়ে দেন, জলচুরির ঘটনা কোনওভাবে বরদাস্ত করা হবে না। অর্থাৎ যাঁরা বাড়িতে পুরসভার জলের লাইনের সঙ্গে সরাসরি পাম্প লাগিয়ে ট্যাঙ্কে জল তুলছেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, যে বাড়িতে এভাবে জল তোলা হয় তারজন্য তার আশপাশের বাড়িতে জল সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে। জলের চাপ অনেকটাই কমে যায়। এ ধরনের কাজ বন্ধ করতে পুরসভার একটি দল বাড়ি বাড়ি পর্যবেক্ষণ করবে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন শহরে দিনে ২০ মিলিয়ন লিটার জলের ঘাটতি রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শহরের নাগরিকদের পানীয় জল পরিষেবায় যাতে সমস্যা না হয তারজন্য আপৎকালীন ব্যবস্থা হিসেবে ১৭টি ডিপ টিউবওয়েল বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসক বোর্ড। মূলত শহরের যেসব এলাকায় এখন জল সরবরাহ লাইনে ফোর্স কম রয়েছে এ রকমই ১৭টি জায়গাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে এই ডিপ টিউবওয়েল বসানো হবে। মাটির গভীর থেকে জল তুলে সরাসরি বর্তমান জল সরবরাহের লাইনের সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হবে। তাহলে ঘাটতি মেটানোর পাশাপাশি জলের চাপও বাড়বে। পানীয় জল প্রকল্পের পাম্প হাউসগুলিতে জেনারেটর না থাকার জন্যও মাঝেমধ্যে শহরে জল সরবরাহ বন্ধ থাকে। বিদ্যুৎ বিপর্যয় হলে কখনও একবেলা কখনও এক-দু’দিন জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। সেই সমস্যা থেকে শহরবাসীকে মুক্তি দিতে পাম্প হাউসগুলিতে এবার জেনারেটর বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন অলোক চক্রবর্তী।