কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বিজেপি কেন দলীয় বিধায়কদের কাজে এভাবে লাগাম টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছে? সম্প্রতি রেশন সামগ্রী কম দেওয়া হচ্ছে টেলিফোনে একজনের এই অভিযোগ পেয়ে দলের ফালাকাটার বিধায়ক দীপক বর্মন লছমনডাবরি এলাকায় ওই রেশন দোকানে হানা দিয়েছিলেন। অভিযোগ, দলকে ও ব্লক প্রশাসনকে না জানিয়ে দীপকবাবু ব্যক্তিগত কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর রক্ষীদের নিয়ে হঠাৎ করে ওই রেশন দোকানে চলে যান। এভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে রেশন দোকানে হানা দেওয়া স্থানীয় মানুষ ভালো চোখে নেয়নি। তারজন্য দীপকবাবুকে এলাকার মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল। এমনকী তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়া হয়েছিল। দীপকবাবুর অবশ্য অভিযোগ ছিল, ওই ঘটনার পিছনে তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ছিল। অন্যদিকে, দলকে না জানিয়ে সম্প্রতি সিপিএমের রেড ভলান্টিয়ার্সকে দিয়ে আলিপুরদুয়ার শহরে দলের জেলা পার্টি অফিস স্যানিটাইজ করান বিজেপির বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। এভাবে দলকে না জানিয়ে পার্টি অফিস স্যানিটাইজ করার জন্য বিধায়কের বিরুদ্ধে দলের ভিতরে তীব্র সমালোচনা হয়েছিল। পরে দলের জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা সুমনবাবুকে ডেকে কড়া ধমক দিয়ে সতর্ক করে দেন ভবিষ্যতে দলকে না জানিয়ে যেন আর এ ধরনের কোনও কাজ না করেন।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, বিধায়ক দীপকবাবু বা সুমনবাবুর কাজকর্মে বিতর্ক দেখা দেওয়ায় দলীয় বিধায়কদের স্বেচ্ছা কাজকর্মে নজরদারি চালাতে বা লাগাম টানতেই আলিপুরদুয়ার জেলায় বিজেপি বিধানসভা ভিত্তিক বিধায়ক সমন্বয় কমিটি গঠন করেছে। সমন্বয় কমিটিতে বিধায়ক ছাড়াও দলের মণ্ডল, ব্লক ও জেলা নেতাদের রাখা হয়েছে। এখন থেকে যেকোনও কাজ করার আগে বা কোথাও গেলে দলের বিধানসভা ভিত্তিক বিধায়ক সমন্বয় কমিটির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বিধায়কদের তা জানাতে হবে। এমনকী কোনও সামাজিক অনুষ্ঠানে গেলেও বিধায়কদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে একটি মেসেজ দিয়ে যেতে হবে।
দলের জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদবাবু অবশ্য বলেন, রাজ্যের মধ্যে আলিপুরদুয়ারে আমরাই প্রথম এমন সমন্বয় কমিটি তৈরি করেছি। আসলে মানুষের কাছে বিধায়কদের কাজে স্বচ্ছতা রাখতেই এই সমন্বয় কমিটি তৈরি করা হয়েছে।