শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
দিনহাটা-১ ব্লকের গীতালদহ-২ পঞ্চায়েতের সদস্যরা প্রধান বিথীকা রায়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা নিয়ে এসেছেন। এর পাশাপাশি স্থানীয় কিছু বাসিন্দা ওই প্রধানের বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ তুলে বিডিও, এসডিও ও জেলাশাসককে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। ইতিমধ্যেই ওই অভিযোগ নিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগ, গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ধরলা নদীর বাঁধ নির্মাণ কয়েকটি ধাপে করা হয়েছে। প্রত্যেক ধাপের অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ। বালির উপরে বোল্ডার দিয়ে বাঁধ নির্মাণ হয়েছে। তাতে বৃষ্টির জলে এখন বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। এছাড়াও ফিস ট্যাঙ্ক তৈরির ক্ষেত্রেও লক্ষ লক্ষ টাকার অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ সামনে এসেছে। যে পরিমাণ ফিস ট্যাঙ্ক কাগজে কলমে দেখিয়ে টাকা তোলা হয়েছে বাস্তবে সেই সংখ্যায় ট্যাঙ্ক তৈরি হয়নি বলে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন গ্রামের বাসিন্দারা।
দলের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা নিয়ে আসা তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যদের মধ্যে মুক্তা বর্মন বলেন, গ্রাম পঞ্চায়েত পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রধান আমাদের গুরুত্ব দিচ্ছিলেন না। নিজের মতো করে কাজ করে যাচ্ছিলেন। তাই আমরা ১০ জন সদস্যের মধ্যে ছ’জন সদস্য এই অনাস্থা নিয়ে এসেছি। নিয়ম মেনে ১৫ দিনের মধ্যে আস্থা প্রকাশে তলবি সভার তারিখ দেওয়া হয়। কিন্তু, আত্মশাসনের জেরে সেই তারিখ এখনও পাওয়া যায়নি। তিনি আরও বলেন, স্থানীয় কিছু মানুষ বিভিন্ন কাজে অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে এসেছেন। প্রশাসন তার তদন্ত করছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রশাসন যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে।
যদিও গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ওসব অভিযোগ মিথ্যা। আমাকে প্রধান পদ থেকে সরানোর জন্য একটা অংশ অনেকদিন ধরে চেষ্টা করছে। প্রধান হিসেবে আমি টেন্ডার ডেকে একটি এজেন্সিকে দিয়ে ওই কাজ করিয়েছি। বিডিও সাহেব, ব্লকের ইঞ্জিনিয়ারদের তত্ত্বাবধানে কাজ হয়েছে। এখন অভিযোগ পেয়ে প্রশাসন তদন্ত করছে। কোথাও অনিয়ম হলে এজেন্সি জবাবদিহি করবে। যে পঞ্চায়েত সদস্যরা আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা নিয়ে এসেছেন, তাঁদের মধ্যে তিনজনের বুথে বিজেপি লিড পেয়েছে। অথচ আমার বুথে ৬০০ ভোটে তৃণমূল প্রার্থী লিড পান। এরপরেও দল যা সিদ্ধান্ত নেবে মাথা পেতে নেব।