বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পুরসভার দাবি, সাফাইকর্মীদের একাংশ ওয়ার্ডগুলিতে সঠিকভাবে কাজে যাচ্ছেন না। এর ফলে পরিষেবায় বিঘ্ন ঘটছে। আর তা নিয়েই নাগরিকদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। এদিকে, গতবার লকডাউনের সময় পুরসভার কর আদায় করা নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। এর ফলে পুরসভার আয়ে বড় প্রভাব পড়ে। পরবর্তীতে সেই আয় কিছুটা বৃদ্ধি পায়। ফলে এই পরিস্থিতিতে পুরসভার পক্ষ থেকে আয়ের বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কোচবিহার পুরসভার প্রশাসক তথা কোচবিহারের মহকুমা শাসক শেখ রাকিবুর রহমান বলেন, পুরসভার বেশকিছু ওয়ার্ড থেকে অভিযোগ রয়েছে, সেখানে পুর পরিষেবার কাজ সঠিকভাবে হচ্ছে না। সেই কারণে পুরসভার সুপারভাইজারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, তাঁরা যেন দৈনিক কাজের হিসেব প্রতিদিন নেন। আমরাও বিষয়টির দিকে নজর রাখছি। গত লকডাউনের সময় পুরসভার কর আদায় অনেকটাই কমে গিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে ও এখন তা আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে পুর নাগরিকরা যাতে সঠিকভাবে পরিষেবা পান, আমরা সেদিকে নজর রাখছি।
কোচবিহার পুরসভা এলাকায় ২০টি ওয়ার্ড রয়েছে। এই ওয়ার্ডগুলিতে জঞ্জাল সাফাই থেকে শুরু করে নিকাশি ব্যবস্থা সহ একাধিক সমস্যা নিয়ে আগে থেকে নানা অভিযোগ রয়েছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এই সমস্যা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। পুরসভার কাছেই যে নানা অভিযোগ আসছে তা পুর কর্তৃপক্ষ স্বীকার করে নিয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, পুর পরিষেবার কাজের সঙ্গে যুক্তদের একাংশ সঠিকভাবে কাজে যাচ্ছেন না। অনেকে হাজিরা দিয়েও কাজ করছেন না। এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্যই পুরসভা এবার প্রতিটি ওয়ার্ডের সুপারভাইজারদের নির্দেশ দিয়েছে যে, তাঁরা যেন প্রতিদিন এলাকায় কী কী কাজ হল, তার হিসেব দেন সঠিকভাবে।