পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মঙ্গলবার থেকেই শিলিগুড়ি সহ দার্জিলিং জেলায় স্কুলভবন চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পন্নমবলম বলেন, স্কুল শিক্ষা দপ্তরের অনুমোদন পাওয়ার পর এদিন থেকেই আমরা সেফ হোম তৈরির জন্য স্কুলভবন তৈরি রাখার কাজ শুরু করেছি।
শিলিগুড়ি শিক্ষা জেলা প্রাথমিক স্কুল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান সুপ্রকাশ রায় বলেন, জেলাশাসকের কাছ থেকে আমি স্কুল শিক্ষা দপ্তরের অনুমোদনের চিঠি পেয়েছি। তাতে মূলত সরকার পোষিত হাইস্কুলগুলির ভবন নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে কোথাও হাইস্কুল না থাকলে জুনিয়র হাই বা প্রাথমিক স্কুলের ভবনও নেওয়া হতে পারে। এতদিন স্থানীয় প্রশাসন প্রয়োজন মতো বিভিন্ন স্কুলভবনকে সেফ হোমের জন্য নিত। এবার স্কুল শিক্ষা দপ্তর এ ব্যাপারে সরাসরি অনুমতি দেওয়ায় কাজের আরও সুবিধা হবে। যে যে স্কুল চাওয়া হবে, তা দিয়ে দেওয়া হবে।
এ ধরনের কতগুলি স্কুলভবনকে সেফ হোমের জন্য বাছাই করা হবে তা এখনও ঠিক হয়নি। জেলাশাসক বলেন, ইতিমধ্যে শিলিগুড়ি মহকুমায় বেশ কয়েকটি সেফ হোম চলছে। সেগুলিতে ৪০ শতাংশ বেড ভর্তি থাকছে। কাজেই এখনই বলা সম্ভব নয় আরও কতগুলি সেফ হোম দরকার। পরিস্থিতির বিচারে যেমন চাহিদা হবে, সেভাবেই সেফ হোমের সংখ্যা বাড়ানো হবে। তখন যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেজন্য আমরা স্কুলভবনগুলি চিহ্নিত করে আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি।
শিলিগুড়ি মহকুমার মাটিগাড়া ব্লকে এখনও কোনও সেফ হোম নেই। মাটিগাড়ার বিডিও শ্রীবাস বিশ্বাস বলেন, সেফ হোম তৈরির জন্য আমরা ব্লকের তিনটি স্কুলকে চিহ্নিত করেছি। প্রয়োজন হলে সেখানে সেফ হোম চালু করা হবে। কিন্তু সেফ হোম নিয়ে গুজবে বিভিন্ন এলাকায় সমস্যা দেখা দিচ্ছে। গুজবে কিছু এলাকায় মানুষ সেফ হোম করার বিরোধিতায় বিক্ষোভও দেখিয়েছেন। কিন্তু এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি ঠিক কোথায় কোথায় নতুন সেফ হাউস হতে পারে। আমরা সম্ভাব্য জায়গাগুলি চিহ্নিত করে রাখছি।
এদিন শিলিগুড়িতেও এ ধরনের সমস্যা হয়েছে। কুমোরটুলির ওয়ার্কশপকে সেফ হোম করা হবে, এমন খবর পেয়ে এদিন সকালে এলাকার মানুষ প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখায়। পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য রঞ্জন সরকার বলেন, আমরা আলোচনা করে মিটিয়ে নেব। এভাবে সবাই বিরোধিতা করলে এত মানুষের চিকিৎসা হবে কোথায়!
ফাঁসিদেওয়া ব্লকে এ ধরনের সমস্যা নেই। লিম্বুটারিতে গত বছরের সেফ হোমটি তৈরি রয়েছে। সেই সঙ্গে সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সাতটি জায়গা চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে বলে জানান বিডিও সঞ্জু গুহ মজুমদার। তিনি বলেন, এরমধ্যে ছ’টি স্কুলভবন ও একটি কমিউনিটি হল। লিম্বুটারিতে সেফ হোম চালু হওয়ার পর সংক্রমণের হার দেখে বোঝা যাবে, আরও কতগুলি সেফ হোম লাগবে।