পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কালিয়াচক–২ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি সুধীর দাস জানিয়েছেন, যে পাঁচজনকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়ে সুপারিশ করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি টিঙ্কু রহমান বিশ্বাস। এছাড়াও জেলা পরিষদের বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ চম্পা মণ্ডল, গঙ্গাপ্রসাদ ও হামিদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই প্রধান আমিনুল ইসলাম ও জারিকা বিবি এবং জেলা পরিষদের প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ দ্বিজেন মণ্ডলকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে বিধানসভা নির্বাচনে দলবিরোধী কার্যকলাপ ও দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগ রয়েছে। তৃণমূলের ব্লক কমিটির চেয়ারম্যান হাসিমুদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্লক কমিটির ৪৯ জন সদস্যের মধ্যে ৪৬ জনই এই সিদ্ধান্তে সহমত হয়েছেন। ব্লক কমিটির সুপারিশ স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন এবং দলের মালদহ জেলা সভানেত্রী মৌসম নুরের কাছে পাঠানো হয়েছে।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, বহিষ্কারের সুপারিশ পাঠানো পাঁচজনই সাবিনা ইয়াসমিন বিরোধী গোষ্ঠীর সক্রিয় সদস্য বলে পরিচিত। বিভিন্ন সময়ে তাঁরা সাবিনা ইয়াসমিনের বিরোধিতা চালিয়ে গিয়েছেন। এদিকে, পাল্টা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এপ্রিলেই অনাস্থা এনেছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সাবিনা অনুগামী সদস্যরা। তবে সেই অনাস্থা বৈঠক এখনও হয়নি।
তাঁদের বহিষ্কারের সুপারিশ প্রসঙ্গে টিঙ্কু রহমান বিশ্বাস বলেন, নির্বাচনে দলবিরোধী কাজের অভিযোগ কল্পনাপ্রসূত। আমার এলাকার সব বুথেই তৃণমূল প্রার্থী লিড পেয়েছেন। তারপরেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে। আমরা ২০১১ সাল থেকেই দলের সঙ্গে যুক্ত। ওই বৈঠকে আমাদের ডাকা হয়নি। একতরফা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ওই পাঁচজনের মধ্যে এক পঞ্চায়েত প্রধান আমিনুল ইসলাম বলেন, প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরাসরি বহিষ্কার করা যায় না। তার আগে শোকজ করতে হয়। সব নিয়মই লঙ্ঘন করা হয়েছে।
সাবিনা ইয়াসমিন অবশ্য বলেন, ব্লক কমিটি পাঁচজনকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়ে সেই সুপারিশ আমাকে ও দলের জেলা কমিটিকে পাঠিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মৌসম নুর বলেন, এখনও সুপারিশ হাতে পাইনি। সেটি পেলে জেলা কমিটির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।